শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চাচাকে বাবা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিসিএস ক্যাডার! হাইকোর্টের নতুন রেজিস্ট্রার হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী লামায় অগ্নিসংযোগ: ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে উপদেষ্টা-প্রশাসন নসরুল হামিদের ৩৬ কোটি টাকার সম্পদ, অস্বাভাবিক লেনদেন ৩১৮১ কোটি তিন উপদেষ্টাকে বিপ্লবী হতে বললেন সারজিস আলম জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম ফায়ার ফাইটার নিহতের ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা কোরিয়া থেকে ৬৯৩ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার সাভারে বন্ধ টিএমআর কারখানা চালুর নির্দেশনা উপদেষ্টার দুদকের সাবেক কমিশনার জহুরুল হকের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু কনস্টাসকে ধাক্কা দেওয়ায় কোহলিকে আইসিসির শাস্তি শেখ হাসিনা-শেখ রেহানার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার দাবি ফখরুলের ১১ বছর পর দেশে ফিরছেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক যারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করেছেন, তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত প্রাণ এএমসিএলের ৩২ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন সেতু মন্ত্রণালয় থেকে বাদ যাচ্ছে ১১১৮৬ কোটি টাকার অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বিমানের সিটের নিচে মিলল ২০ সোনার বার, যাত্রী আটক ‘পিলখানা হত্যায় নিরপেক্ষ থেকে ষড়যন্ত্র চিহ্নিত করা হবে’ চোখের জলে এক বীরকে বিদায় দিল ফায়ার সার্ভিস

মুন গ্রুপের চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ১০ আগস্ট, ২০১৬
  • ১৯৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: অগ্রণী ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় মুন গ্রুপের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে সংস্থাটি।

বুধবার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, ‘মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অগ্রণী ব্যাংকের ২২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।’

গত ৩০ জুন অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ আবদুল হামিদ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মিজানুর রহমান খান, মুন গ্রুপের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, ব্যাংকটির আরো পাঁচজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাসহ আটজনকে আসামি করে মামলা করেছিল দুদক।

মামলা করার পরপরই ৩০ জুন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন অগ্রণী ব্যাংকের ডিএমডি মিজানুর রহমান খান, ব্যাংকটির উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. আখতারুল আলম ও সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. শফিউল্লাহ। মিজানুর রহমান খান গত বৃহস্পতিবার জামিন পান।

ওই মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে নিজেরা লাভবান হয়ে এবং অন্যদের লাভবান করে প্রতারণা, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করেছেন। রাজধানীর কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ড–সংলগ্ন ৫৫৫ নম্বর প্লটে মিজানুর রহমানের বৈধ মালিকানা ছিল না।

ওই জমির মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা চলছিল। তা ছাড়া রাজউক অনুমোদিত বৈধ নকশাও ছিল না। বিতর্কিত ওই জমিতে নির্মাণাধীন একটি ভবনের অস্বাভাবিক নির্মাণ ব্যয় ও আয় দেখিয়ে মিথ্যা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে মুন গ্রুপকে ১০৮ কোটি টাকা ঋণ দেয় অগ্রণী ব্যাংক।

মঞ্জুর হওয়া ঋণ থেকে পর্যায়ক্রমে ৯৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা তুলে নিয়ে ব্যাংক তথা রাষ্ট্রের ওই পরিমাণ অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

৯৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হলেও মামলার তদন্ত চলাকালে তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ২২০ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্তে আরো আত্মসাতের তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যেতে পারে বলে তাদের ধারণা। অগ্রণী ব্যাংকে মুন গ্রুপের মোট ঋণ ৩০০ কোটি টাকার বেশি বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, মিজানুর রহমানের প্রতিষ্ঠান এমআর ট্রেডিং রাজধানীর দিলকুশায় সরকারি জমির ওপর ‘সানমুন স্টার টাওয়ার’ নামে ৩০ তলা আরেকটি ভবন তৈরি করেছিল। সে ক্ষেত্রেও পদে পদে অনিয়ম-দুর্নীতি, নির্মাণে আইন, বিধি, নীতিমালা—কোনোটাই মানা হয়নি। সাউথ বাংলা এগ্রিকালচারাল ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন মিজানুর রহমান। ব্যাংকের পর্ষদ তাকে এ পদ থেকে অব্যাহতি দেয়।

বাংলা৭১নিউজ/এসএম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com