বাংলা৭১নিউজ,(মুন্সীগঞ্জ)প্রতিনিধি:বন্যাবিধস্ত মুন্সিগঞ্জে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় এখন কৃষক। বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার আগেই উঁচু জমি বা বাড়ির আঙিনায় তৈরি করছেন বীজতলা। রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করেই শীতের আগাম সবজি ফলানোর চেষ্টা করছেন। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ হয় অন্য জেলাতেও।
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার ভট্টাচার্যের বাগ গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন। জীবন যুদ্ধে লড়ছেন। দ্বিতীয় দফার বানের পানিতে ক’দিন আগেই তলিয়ে যায় বীজতলা। ব্যাপক ক্ষতির পরেও ঘরে বসে নেই।
ফুলকপির এই বীজতলার চারা মুন্সীগঞ্জের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকাতেও যায়। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও চলছে উৎপাদনের সংগ্রাম।
ভট্টাচার্যের বাগের মত জেলার কেপিবাগ, বণিক্যপাড়া, বজ্রযোগিনী, রামপাল, পানাম, হাতিমারা, পাইকপাড়াসহ গ্রামে গ্রামে চলছে বীজতলা তৈরির কাজ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ পরিচালক শাহ আলম বলেন, এখান থেকেই সারা দেশে চারাগুলো ছড়িয়ে পড়বে। হাজার হাজার হেক্টর জমিতে এগুলো আবাদ হবে।
কৃষি কর্মকর্তা উপসহকারী জাকির হোসেন বলেন, কিছু বীজ এখানে দেশেই করে, আর কিছু কোম্পানির মাধ্যমে আসে।
সহস্রাধিক কৃষি পরিবার ফুল কপির বীজতলা তৈরির সাথে জড়িত। বীজ থেকে চারা উঠার ২৮ দিনের মধ্যে রোপন করতে হয়।
বাংলা৭১নিউজ/এবি