একাদশ জাতীয় সংসদের দশম অধিবেশনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। অধিবেশনটি চলবে ৯ নভেম্বর থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত। ১০ দিনের কার্যদিবসে চারদিন চলবে মুজিববর্ষের বিশেষ অধিবেশন। আর বাকি ছয় দিন চলবে সাধারণ অধিবেশন। সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, অধিবেশনে ৯ নভেম্বরে শুরুতে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ভাষণ দেবেন। এদিন প্রধান বিচারপতি, তিন বাহিনীর প্রধান, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যসহ সীমিত পরিসরে আমন্ত্রিত অতিথিরা সংসদ গ্যালারিতে উপস্থিত থাকবেন। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বর্ণাঢ্য ও কর্মময় রাজনৈতিক জীবন ও তার অবদান নিয়ে রাষ্ট্রপতির স্মারক বক্তৃতার পর এই বক্তৃতার উপরে আলোচনার জন্য একটি সাধারণ প্রস্তাব আনা হবে।
ওই প্রস্তাবের ওপর সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দলগুলোর সংসদ সদস্যরা আলোচনা করবেন। মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেওযা রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনা শেষে তা পাস হবে। চার দিনের বিশেষ অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন তুলে ধরা হবে।জাতীয় সংসদ ভবনের লেকে নৌকা দুটি গয়না নৌকা ভাসানো হয়েছে। পাশাপাশি সংসদ লাইব্রেরিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০০ বাণী নিয়ে আলো-ছায়ার দৃষ্টিনন্দন কোলাজ করা হয়েছে।
সংসদ ভবনের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে প্যান্ডেল করে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে আলোকচিত্র ও প্রামাণ্য দলিলে পাকিস্তানের গণপরিষদ, স্বাধীন দেশে নতুন সংবিধান প্রণয়ন ও সংসদে বঙ্গবন্ধুর কাজগুলো ফোকাস করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, একাদশ জাতীয় সংসদের দশম অধিবেশনে সংসদ সদস্যদের যোগ দেয়ার জন্য করোনার নমুনা পরীক্ষা চলছে। নমুনা পরীক্ষায় যারা করোনা নেগেটিভ শুধু তরাই এই বিশেষ অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন। এই অধিবেশনেও বিশেষভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৮০ জন সংসদ সদস্য উপস্থিত থাকতে পারবেন। সে অনুযায়ী রোস্টার করা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এএম