বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: হিংসা বিসর্জন করে শান্তি ও সুখের মন্ত্রে সারাদেশে রোববার ১৬ই বৈশাখ উদযাপিত হলো বুদ্ধ পূর্ণিমা। খ্রিস্টপূর্ব ৬২৩ অব্দের এ বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেন, ৫৮৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দের এদিনে তিনি সাধনায় বোধিজ্ঞান লাভ করে বুদ্ধ নামে খ্যাত হন এবং ৫৪৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দের এদিনে তিনি মহাপরিনির্বাণ লাভ বা দেহত্যাগ করেন। বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী তাদের বিশেষ বাণীতে গৌতম বুদ্ধ ও তার আদর্শকে পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছেন।
এদিনে রাজধানীর কমলাপুরে ঐতিহাসিক ধর্মরাজিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ আয়োজিত সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান ‘বুদ্ধ পূর্ণিমার তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনায় সকল ধর্মের মানুষকে এক হয়ে ধর্মের মুখোশ পরা ধর্মনাশী ধর্মবাজদের প্রতিহত করার আহবান জানিয়েছেন সভার প্রধান অতিথি তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ধার্মিকেরা ধর্মচচা করেন আর ধর্মের মুখোশধারী বা ধর্মবাজরা ধর্মনাশ করে। তারাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী ও সমাজে বিশৃংখলাকারী।’
‘গৌতম বুদ্ধ অহিংসা ও শান্তির বাণী প্রচার করে মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে এসেছিলেন। মহামতি বুদ্ধ এবং সকল ধর্মের অনুসারীদের সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠায় মুখোশধারী ধর্মবাজদের প্রতিহত করতে হবে’, বলেন তিনি।
জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এসময় বলেন, ‘ধর্ম ও শান্তির আদর্শ নিয়মতান্ত্রিক জীবনের শিক্ষা দেয় আর দন্ডিত অপরাধীকে আইনের উর্ধ্বে রাখার নির্লজ্জ অপচেষ্টাকারীরা যেমন আইন মানেনা, তেমনি ধর্মও মানেনা। সেকারণেই রাজাকার-জঙ্গি-জামাত ও তাদের দোসররা সকল ধার্মিক ও শান্তিপ্রিয় মানুষের শত্রু। শান্তির পথে আগুয়ান হতে এদের সমবেতভাবে প্রতিহত করতে হবে।’
সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ মহাথেরো’র সভাপতিত্বে সভায় সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়–য়া সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।
ধর্মরাজিক বৌদ্ধ বিহারে এদিন পূজা-অর্চনার পাশাপাশি দেশ-বিদেশের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ মহাথেরোর পরিচালনায় পঞ্চশীল, অষ্টশীল, সূত্রপাঠ, সূত্রশ্রবণ ও সমবেত প্রার্থনায় অংশ নিয়ে সারা বিশ্বের মানুষের জন্য মঙ্গল কামনা করে।
সারাদেশে রাষ্ট্রীয় ছুটির এদিনের শুরুতে শান্তি শোভাযাত্রা ও বৌদ্ধ মঠ ও মন্দিরগুলোতে দিনব্যাপী প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, পূজা ও প্রার্থনার আয়োজন করে বুদ্ধের আদর্শ অনুসারী বৌদ্ধ সম্প্রদায়।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস