সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ১১:২৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
রাজধানীতে বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২ জিম্বাবুয়েকে ৬ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ ব্রাজিলে বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৭৫, নিখোঁজ শতাধিক টস জিতে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো বাংলাদেশ ছয় মাসে রাজস্ব আহরণ বেড়েছে ১৩.৯ শতাংশ: অর্থমন্ত্রী সোনার দাম আরও বাড়লো ব্যর্থতা ঝেড়ে বিশ্বকাপ রঙিন করার প্রত্যাশা জ্যোতির পালিয়ে বাংলাদেশে এলেন আরও ৮৮ বিজিপি সদস্য এবি ব্যাংক পিএলসি যশোরে স্মার্ট কার্ডে নারী উদ্যোক্তা ঋণ স্মরণে বঙ্গবন্ধু ঢাকায় আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপে তীব্র তাপপ্রবাহের পর হবিগঞ্জে ঝড়-শিলাবৃষ্টি গুচ্ছের বি ইউনিটের ফল প্রকাশ তাপপ্রবাহ এবারই শেষ নয়, প্রস্তুতি শুরুর পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হাওরের প্রায় শতভাগ বোরো ধান কাটা শেষ ২৪ ঘণ্টায়ও নেভেনি সুন্দরবনের আগুন, সময় লাগবে ২-৩ দিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ সরকারি সফরে অস্ট্রেলিয়া গেলেন বিমান বাহিনী প্রধান সরকার তৃণমূল মানুষের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে : প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকের উপর হামলা, প্রতিবাদে ক্র্যাবের মানববন্ধন উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করুন: রিজভী

মুক্তি মেলেনি, এবারো কারাগারেই ঈদ খালেদা জিয়ার

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ২১ আগস্ট, ২০১৮
  • ২১৯ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: পর পর দুটি ঈদই কারাগারে কাটছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার। জিয়া  অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় চলতি বছরের ৮ই ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে রয়েছেন তিনি। পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডে-কেয়ার সেন্টারে নিঃসঙ্গ অবস্থায় কাটছে তার দিন। যে মামলায় সাজার মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল সে মামলায় জামিন মিলেছে অনেক আগেই। কিন্তু তার মুক্তি মেলেনি। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় দায়েরকৃত একের পর এক মামলায় তাকে দেখানো হচ্ছে গ্রেপ্তার।

ফলে কারাগারের নিঃসঙ্গ পরিবেশেই বন্দি অবস্থায় রমজানের ঈদ কেটেছে তার। সামপ্রতিক সময়ে পরপর বেশ কয়েকটি মামলায় জামিন পাওয়ার পর তার মুক্তির ব্যাপারে আশাবাদী হয়েছিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

কিন্তু ঈদের আগে তিনি মুক্তি পাননি, কবে মুক্তি পাবেন সেটা নিয়েও অনিশ্চিত। এমন পরিস্থিতিতে ঈদুল আজহাও তাকে কাটাতে হবে কারাগারে। প্রতিটি ঈদে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিক, বিশিষ্ট নাগরিক, নেতাকর্মী ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন তিনি। কারগারে থাকার কারণে সে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি।

উল্লেখ্য, এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো কারাগারে ঈদ কাটছে তার। এর আগে ওয়ান ইলেভেনের জরুরি সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর ক্যান্টনমেন্টের মইনুল রোডের বাসভবন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাখা হয় সংসদ ভবন এলাকায় স্থাপিত সাব-জেলে। সেবার ৩৭২ দিন কারাভোগের মধ্যে ২০০৭ সালের ১৪ই অক্টোবর ও ২১শে ডিসেম্বর দুটি ঈদ কাটাতে হয় সাব-জেলে।পরে সাব-জেল থেকে মুক্তি পান ২০০৮ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর।

এদিকে, খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে দলীয় নেতাকর্মীদের ঈদ আনন্দ বিষাদে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। তাই ঈদের দিন কূটনৈতিক বা বিশিষ্টজনদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়সহ অন্যান্য কর্মসূচি পালন করবেন না তারা। ঈদের দিন কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরা দেখা করতে যাবেন।

এছাড়া, চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে- দলটির সিনিয়র নেতারা ঈদের দিন চেয়ারপারসনের সঙ্গে কারাগারে সাক্ষাতের প্রস্তুতি নিলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার উপর নির্ভর করছে বিষয়টি। এর বাইরে ঈদের দিন নামাজ শেষে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করবেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদেরও মাজার জিয়ারতে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। এছাড়া তারা আর কোনো কর্মসূচি বা শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন না।


এ ব্যাপারে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশনেত্রী ও গণতন্ত্রের মাতা খালেদা জিয়াকে ছাড়া আমাদের দলের নেতাকর্মীদের জন্য ঈদের আনন্দটা অত্যন্ত বেদনাবিধুর এবং সীমাহীন কষ্টের। তিনি ছাড়া আমাদের ঈদ আনন্দময় হবে না, স্বস্তির হবে না। তিনি কারাগারে যাওয়ার পর থেকে আমরা ঈদের দিন মাজার জিয়ারত করি। এবারো সেটা করবো। এর বাইরে কূটনৈতিক বা বিশিষ্টজনদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় গত ঈদেও করিনি এবারো করব না। ঈদের দিন কারাগারে দেশনেত্রীর সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরা সাক্ষাৎ করবেন। আমরা চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন করেছি। এখনো জবাব পাইনি।

অনুমতি পেলে ঈদের নামাজের পর দেখা করতে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান  বলেন, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দলের নেতাকর্মীদের খুব স্নেহ করতেন। তার মতো বয়স্ক ও দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ একজন মানুষকে অন্যায়ভাবে কারাগারে রেখেছে সরকার। এরপর তার মূল মামলায় জামিন হওয়ার পরও নানা কৌশলে আটকে রেখেছে। এটা ইতিহাসের একটা কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। এমন একটা অমানবিক পরিস্থিতিতে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী এই ঈদকে আনন্দের ঈদ বলে মনে করবে বলে আমরা মনে করি না।

বাংলা৭১নিউজ/সূত্র: মানবজমিন/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com