বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: হলি আর্টিজান হামলা মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ায় মুক্তি পাচ্ছেন নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিম। পুলিশের প্রতিবেদন আদালত গ্রহণ করায় এখন এই অনুমতিপত্র কারাগারে গেলেই মুক্তি পাবেন বহুল আলোচিত এই শিক্ষক।
বুধবার মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের পর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এই আবেদন মঞ্জুর করেন।
পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেন বিচারক। পলাতক আসামিরা হলেন শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ।
পরে বিচারক আবেদন মঞ্জুর করে হাসনাত করিমকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। একই সঙ্গে বিচারক আগামী ১৬ আগস্ট পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন। এরপর হাসনাত করিমকে পুলিশ আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর অতিরিক্ত পিপি আব্দুস সাত্তার দুলাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিচারক হাসনাত করিমকে অব্যাহতি দিয়েছেন। অব্যাহতির আদেশ কারাগারে পৌঁছালেই কারাগার থেকে তিনি মুক্ত হবেন।’
২০১৬ সালের ১ জুলাই দেশ কাঁপানো এই হামলার সময় হাসনাত করিম এবং তার স্বজনরাও ছিলেন রেস্টুরেন্টটিতে। কিন্তু জঙ্গিরা তাদের কাউকেই কিছু বলেনি। আবার হামলার পরদিন ভোরে রেস্টুরেন্টের ছাদে হাসনাত করিমের সঙ্গে হামলাকারী একাধিক তরুণকে দেখা গেছে। পাশের ভবন থেকে একজন কোরিয়ান নাগরিকের ধারণ করা ভিডিওতে মনে হয়েছে তারা সেখানে আলোচনা করছেন।
এ কারণে হাসনাত করিম এই হামলায় জড়িত বলে সে সময় ধারণা করা হয়। আবার নর্থ সাউথে শিক্ষকতা করার সময় উগ্রপন্থী ও নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা এবং এই সংগঠনকে পৃষ্ঠপোষকতা করার অভিযোগ আছে হাসনাতের বিরুদ্ধে।
জঙ্গি হামলার পর সেনা অভিযানে উদ্ধার জঙ্গিদের মধ্যে ‘রহস্যজনক’ আচরণের কারণে হাসনাত করিমকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেওয়া হয়। ঘটনার কয়েকদিন পর হাসনাতকে ছেড়ে দেওয়ার কথা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হলেও তাকে আর ছাড়া হয়নি।
পরে ৩ আগস্ট রাজধানীর একটি বাড়ি থেকে হাসনাত করিমকে ৫৪ ধারায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। ৪ আগস্ট প্রথম দফায় হাসনাতের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ১৩ আগস্ট হলি আর্টিজান মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ২৪ আগস্ট হাসনাত করিমের জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। হাসনাত করিম বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন।
দুনিয়া কাঁপানো ওই জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এ সময় তাদের গুলিতে দুই পুলিশ সদস্যও নিহত হন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা করে পুলিশ। সূত্র: ঢাকাটাইমস।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস