রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
দাবদাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা-বন্ধ নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১ কোটি ৩০ লাখ পশু, আমদানি নয় বঙ্গোপসাগর থেকে ভেসে এসেছে টর্পেডো সদৃশ বস্তু এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ৯-১১ মের মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কেবল ব্যবসা করলে চলবে না : শিল্পমন্ত্রী আইনগত সহায়তা পাওয়া করুণা নয় : আইনমন্ত্রী কোটালীপাড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা বিনামূল্যে ছাতা-খাবার স্যালাইন পাচ্ছেন ৩৫ হাজার রিকশাচালক মাদরাসায় যাওয়ার পথে শিক্ষকের মৃত্যু, ধারণা ‘হিটস্ট্রোক’ রোগীর প্রতি চিকিৎসকের অবহেলা বরদাস্ত করা হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্কুলে আসার পথেই অসুস্থ, ক্লাস না করে ফিরেছে অনেক শিক্ষার্থী টেকসই প্রযুক্তিতে পানি পরিশোধন করবে ডাইকি অ্যাক্সিস বাংলাদেশ মাঠে নামছে চেন্নাই, একাদশে থাকবেন মুস্তাফিজ? বন্দিদের মুক্তি দাবিতে ইসরায়েলজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ পরিবহন ধর্মঘটে যানশূন্য সড়কে দুর্ভোগ চরমে আপিল বিভাগের ২ বেঞ্চে চলবে বিচারকাজ: প্রধান বিচারপতি ফরিদপুরে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যায় জড়িতরা অচিরেই গ্রেফতার মে দিবসে সমাবেশ করবে বিএনপি বান্দরবানে ২ কেএনএফ সদস্যের মরদেহ! কালো চশমা পরা বিএনপি নেতারা দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না

মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ ২২শিক্ষার্থীকে হল ছাড়া করল ছাত্রলীগ নেতা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৮
  • ১২৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নউিজ, ইবি প্রতিনিধি:কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেয়ার অভিযোগে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ ২২জন শিক্ষার্থীকে হল থেকে নামিয়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। বুধবার রাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি শাহিনের নির্দেশে তাদেরকে বের করে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। পরে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে তার হল থেকে একযোগে বের হয়ে যায় বলে দলীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, সভাপতি শাহিনের নির্দেশে ছাত্রলীগ নেতা সালাউদ্দিল আহমেদ সজল ও আবুল খায়ের মোল্লা বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ছাত্রলীগ কর্মীদের নিজ কক্ষে ডেকে পাঠান। পরে তাদের নানাভাবে গালাগাল ও হুমকি-ধামকি দিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার মধ্যে হল ছেড়ে দেওয়ার আলটিমেটাম দেয়।

ফলে বৃহস্পতিবার সকালে শিক্ষার্থীরা হল থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এদের মধ্যে অধিকাংশই প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগীরা হলেন, ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী বিল্লাল হোসেন, আসানুর রহমান, গোলাম রাব্বি, মেহেদী হাসান, রবিউল, আশিকুর রহমান, রাব্বুল, আশিক, রাসেল মুরাদ, আশিকুল ইসলাম। একই বর্ষের লোক-প্রশাসন বিভাগের আশরাফুল ইসলাম, শিমুল ইসলাম, নাইমুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, শাকিল আহমেদ, মেহদী হাসান, ফয়সাল আহমেদ, লিমন, আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের একই বর্ষের আব্দুর রশিদ, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের নাহিদ হাসান, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আশিক ও নিশাতসহ ২২জন কর্মী।

জানা যায়, বুধবার সারা দেশের ন্যায় ইবিতেও কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেয় হাজার হাজার শিক্ষার্থী। আন্দোলন বাধাগ্রস্থ করার জন্য দলীয় কর্মীদের অংশগ্রহণ না করার নির্দেশ দেয় শাখা ছাত্রলীগের নেতারা। কিন্তু নির্দেশ উপেক্ষা করে বিপুল সংখ্যক ছাত্রলীগকর্মী আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে হল ছাড়তে বাধ্য করা হয় সভাপতি গ্রুপের ২২ কর্মীকে। এর আগে সন্ধ্যায় সভাপতি শাহিন হলে এসে আন্দোলনে অংশ নেয়া ছাত্রলীগকর্মীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলেও অভিযোগ করে ভুক্তভোগীরা।

ভুক্তভোগীদের একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘সিটের জন্য রাজনীতি করিনা। আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। চেতনা থেকে রাজনীতি করি। আমি সেই চেতনা থেকেই কোটা সংস্কারের আন্দোলনে গিয়েছিলাম। এই অপরাধে আমাকে হল থেকে নামিয়ে দেয়া হলো। তবুও আমার আক্ষেপ নাই। নেতার কথা শুনে আমি হল ছেড়ে চলে যাচ্ছি।’

নাম প্রকাশ করার শর্তে এক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি একজন ছাত্র হিসেবে কোটা সংস্কারের যৌক্তিক আন্দোলনে অংশ নিতেই পারি। কাল সন্ধ্যায়ও তো আনন্দ মিছিল করলাম। কিন্তু আমাকে কেন নামিয়ে দেয়া হবে।’

ঘটনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা বলেন, ‘শাহিন নেতা হওয়ার পর থেকেই দলের মধ্যে নানা সমস্যা লেগেই রয়েছে। আর আজ নিজ কর্মীদের হল থেকে নামিয়ে দেওয়ার যে সিন্ধান্ত তা আমি মনে করি রাজনৈতিক অপরিপক্কতার ফল।’

এবিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিনের সাথে যোগাযোগের করলে তিনি বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানতামই না। পরে শুনেছি। তারা নিজেদের ভিতর ঝামেলা করে হল ছেড়েছিল। তাদের ৪জন লিখিত দিয়েছে। এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কোন সম্পৃক্ততা নেই।’

ঘটনা জানিয়ে লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমানের বলেন, ‘এতগুলো ছাত্র এখন হঠাৎ করে কোথায় যাবে, এটি খুব জঘন্য একটি কাজ, এটি মেনে নেয়া যায়না। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সিন্ধান্ত নেব এদের বিরুদ্ধে কি করা যায়।’

ইবি উপচার্য অধ্যাপক রাশিদ আসকারী বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি তবে কেউ অভিযোগ করেনি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com