সোমবার, ০৩ মার্চ ২০২৫, ০৯:০৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে গ্রুপ-চ্যাম্পিয়ন ভারত বুধবার থেকে ৬৪ জেলায় মিলবে টিসিবির পণ্য : বাণিজ্য উপদেষ্টা সাবেক এমপি তানভীর ইমাম পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ৩ মামলা ট্যাক্স জিডিপি ও এফডিআই বাড়ানো বড় চ্যালেঞ্জ : অর্থ উপদেষ্টা বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ ড. ইউনূস, আ.লীগ-জামায়াতকে নিয়ে যা বললেন নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন সৌদিতে ১৭ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার রিয়াল মাদ্রিদের ‘কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা’ উয়েফার দেশের ইতিহাসে রেকর্ড রেমিট্যান্স এলো ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ জয়ের চেয়েও বড় বিজয় পুতিনের একাডেমিক শাটডাউন ঘোষণা ম্যাটস শিক্ষার্থীদের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমে আটকে থাকা বিড়াল উদ্ধার অটোরিকশার যাত্রী নিহত, পুড়িয়ে দিল বাস জাতীয় নির্বাচনে সব দলের সমান সুযোগ চায় জাতিসংঘ স্বৈরশাসক হাসিনার নৃশংসতা নথিভুক্তির ওপর গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টার গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করেছে ইসরায়েল যারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করছে তাদের বিচার হওয়া উচিত উত্তরায় জামায়াতের ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি উদ্বোধন নারী-পুরুষ সবার জন্যই প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধ নির্বাচন আয়োজনে দেরি হলে ষড়যন্ত্র বাড়বে: সালাহউদ্দিন

মুক্তিযোদ্ধার নাতি সেজে এক যুগ পুলিশে চাকরি, গ্রেপ্তার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় রবিবার, ২ মার্চ, ২০২৫
  • ৭ বার পড়া হয়েছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মুক্তিযোদ্ধার নাতি পরিচয়ে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি নেওয়ার অভিযোগে মো. সুমন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এক যুগ পর তদন্তে তার প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়েছে। 

সুমনের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মামলা হয়েছে। মামলা হওয়ার আগে থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।

গত শুক্রবার বিকেলে আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারত থেকে দেশে ফিরলে আখাউড়া স্থলবন্দর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশ সুমনকে গ্রেপ্তার করে। শনিবার (১ মার্চ) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

গ্রেপ্তার সুমনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া গ্রামে। 

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, “সুমন শুক্রবার ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরছেন বলে গোপন মাধ্যমে জানতে পারে পুলিশ। পরে ইমিগ্রেশন এলাকায় সদর থানা পুলিশ অবস্থান নেয়। সেখান থেকে গ্রেপ্তারের পর শনিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে সুমনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া উপজেলার মোগড়া গ্রামের বাসিন্দা নান্নু মিয়ার ছেলে মো. সুমন। ২০১২ সালে পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পরীক্ষায় অংশ নেন এবং মুক্তিযোদ্ধার নাতি কোটায় চাকরির জন্য প্রতিবেশী মো. হোসেন মিয়ার মুক্তিযোদ্ধা সনদ দাখিল করেন।

প্রকৃতপক্ষে, হোসেন মিয়া তার দাদা নয়। এই প্রতারণার বিষয়ে ২০২৪ সালের ২১ অক্টোবর স্থানীয় যুবক মো. ফরহাদ মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। 

লিখিত অভিযোগের পর তৎকালীন কসবা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেনকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওই পুলিশ কর্মকর্তার স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত মো. সুমন ২০১২ সালের ৩ জুলাই ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তিনি ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পরীক্ষার সময় তার প্রতিবেশী হোসেন মিয়ার মুক্তিযোদ্ধার সনদ ব্যবহার করে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন। পরবর্তী বিধি মোতাবেক পুলিশ ভেরিফিকেশনের (ভিআর) পর ছয় মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষ করে ২০১৩ সালের ২৯ মার্চ থেকে কনস্টেবল পদে চাকরি করে আসছিলেন। 

প্রকৃতপক্ষে মো. সুমনের দাখিলকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হোসেন মিয়া তার দাদা নন। অভিযুক্ত মো. সুমনের দাদার নাম আলতাফ আলী হোসেন। সুমন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হোসেন মিয়ার নাতি না হয়েও ইচ্ছাকৃতভাবে অন্যের মুক্তিযোদ্ধা সনদ দাখিল করে পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেয়ে যাবতীয় বেতন ও রেশনসহ অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছেন।

এদিকে, কুমিল্লার বুড়িচং থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় কনস্টেবল মো. সুমন গত বছরের ১ ডিসেম্বর ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেন। সেসময় তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান ছিল। এরপর ২১ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মামলা হয়।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com