জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা-৪ আসনের এমপি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেছেন, ‘স্বাধীনতা অর্জনের ৫১ বছর পরেও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বিধা-বিভক্তি জাতির জন্য লজ্জাজনক। আমার বলতে দ্বিধা নেই এটা জাতীয় লজ্জা বটে।’ শনিবার সকালে নিজ নির্বাচনী এলাকা জুরাইনে শ্যামপুর-কদমতলী থানা জাতীয় পার্টি আয়োজিত র্যালির আগে বিশাল স্বাধীনতা সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা আরও বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত, বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, সাম্য ও প্রগতির অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা। কিন্তু আজ দেশের কতিপয় রাজনৈতিক দল জাতির পিতাকে নিয়ে যখন প্রশ্ন তুলে তখন পক্ষান্তরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে জাতিকে বিভক্ত করার চেষ্টা করে। যা জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে আমাদের ছোট করে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা একেক জন একেক দল করতে পারি। কিন্তু জাতির পিতার প্রশ্নে কেউ দ্বিমত করতে পারি না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। যারা এ সত্যকে মেনে নিতে পারে না পক্ষান্তরে তারা বাংলাদেশকে মেনে নিতে পারে না। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল একটি সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু ৭৫ এর ১৫ই আগস্টের মর্মান্তিক ঘটনার পর সেই স্বপ্নময় বাংলাদেশ বিনির্মাণ থমকে যায়। কিন্তু ১৯৮২ সালে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণের কাজ ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়ে যান।’
বাবলা আরও বলেন, ‘আজ আমরা দেখতে পাই বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেয়ার জন্য ৭১-এর পরাজিত শক্তিরা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠার অপচেষ্টা করছে। সময় এসেছে, স্বাধীনতা বিরোধী সেই অপশক্তির বিরুদ্ধে মুক্তধারার গণজাগরণ গড়ে তোলার।’
সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন দে, যুগ্ম প্রচার সম্পাদক শেখ মাসুক রহমান, শ্যামপুর থানা জাপার সভাপতি কাওসার আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম মোল্লা, কদমতলী থানার সভাপতি শামসুজ্জামান কাজল, সিনিয়র সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল হোসেন মিন্টু, জাপা নেতা তানভীর হোসেন সুমন, মো. আবদুল হাকিম, জাহিদ হোসেন, মোতালেব হোসেন , মো. হোসেন মিয়া, মো. আসাদ মিয়া, মো. কামাল হোসেন, জুয়েল ওসমান, মো. শাহ আলম, ছামির হোসেন সোহাগ, মো. আবদুল হোসেন, জাতীয় যুব সংহতির মারুফ হাসান মাসুম, সজিব আহমেদ, জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. রাসেল, মো. নাসির, মো. আল আমিন, সাদ্দাম হোসেন, ফয়সাল সরদার, রাসেল শেখ, স্বেচ্ছাসেবক পার্টির মো. রনি হাওলাদার, মো. মাসুম খান, ছাত্র সমাজের ইয়াসির আরাফাত টিপু, শাহাদাৎ কবির যুবরাজ, সামিউল ইসলাম কাব্য ,তরুণ পার্টির মো. লিটন আলী, মো. জীবন শাহ, পার্থ দাশ, মো. রুমান হোসেন, শ্রমিক পার্টির রাজন আহমেদ শিশির, রাহাত খান, সোহেল মাহমুদ, মহিলা পার্টির শাম্মী আকতার, শায়লা রহমান, পারুল আকতার, শামীমা আরা গণি, রুবিনা আকতার, ফরিদা ইয়াসমিন, পিংকি ইসলাম, আনামিকা হক, কৃষক পার্টির শাহ জামাল, আবুল কালাম ও মো. মনির।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ