বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের সুপারভাইজারী কমিটির ৮৩তম সভা অনুষ্ঠিত ইসলামী ব্যাংকের অডিট বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহে অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ২ ২ হাজার কোটি টাকার ৬ ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন একরামুল-গোলন্দাজসহ দুদকের জালে সাবেক ১০ এমপি শুল্ক গোয়েন্দার ডিজিসহ ৩১ কর্মকর্তা পদে রদবদল দুই শতাধিক কৃষককে ঋণ দিলো এবি ব্যাংক ‘কারাগার থেকে পালানো ৫০০ আসামি এখনও ধরা পড়েনি’ বাংলাদেশ পুলিশের সংস্কারে সহযোগিতা করবে ইতালি জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সীমান্ত খোকনের জানাজা অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের মহাসচিবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ইসরায়েলের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০ টাকা চাওয়া নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৩০ তেলের দাম এক লাফে বাড়ল ৪ শতাংশ ঘনঘন বিদেশ সফর: পাউবো’র শ্যামল কী ‘র’ এর এজেন্ট! মুখোমুখি লড়াইয়ে পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী: হিজবুল্লাহ নজরুল ইসলাম মজুমদার সাত দিনের রিমান্ডে পোশাককর্মী রুবেল হত্যা: সালাম মুর্শেদী দুইদিনের রিমান্ডে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ২ বছর বা তারও কম চান ৫৩ শতাংশ ভোটার হাসপাতা‌লে ভ‌র্তি বি. চৌধুরী বাংলাদেশে কারখানা তৈরি করে মাছ রপ্তানি করতে চায় চীন

মুক্তিপণ না পেয়ে এক রোহিঙ্গার কব্জি কর্তন, হদিস নেই চারজনের

কক্সবাজার প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় রবিবার, ৪ জুন, ২০২৩
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজারের টেকনাফে মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে অপহৃত পাঁচ রোহিঙ্গার মাঝে এক যুবকের বাম হাতের কব্জি কর্তন করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (৩ জুন) রাত ৯টার দিকে টেকনাফ আলীখালী ডি/২০ ব্লক সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকা হতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় রোহিঙ্গারা তাকে উদ্ধার করেন। ক্যাম্প মাঝি নুরুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে বাকি চারজনের এখনো কোনো হদিস নেই।

হাতের কব্জি কর্তন করা জাহাঙ্গীর আলম টেকনাফ আলীখালী ২৫ নম্বর ক্যাম্প ব্লক ডি/২১ এর সামসু আলমের ছেলে।

টেকনাফের আলীখালী ক্যাম্প মাঝি নুরুল আমিন জানান, শুক্রবার রাতে ২৫ নম্বর ক্যাম্প থেকে ১২-১৫ জনের অস্ত্রধারী একটি দল পাঁচ রোহিঙ্গা যুবককে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তারা নিখোঁজ ছিলেন।

পরে শনিবার রাত ৯টার দিকে জানতে পারেন আলীখালী ক্যাম্পে ডি/২১ ব্লক সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় অপহৃতদের একজনকে বাম হাতের কব্জি কর্তন করে ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ক্যাম্প সংলগ্ন (আইআরসি) হাসপাতালে নিয়ে নেওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।

ক্যাম্প মাঝি নুরুল আমিন বলেন, পাঁচ রোহিঙ্গা যুবককে অপহরণ করার পর অপহরণকারীরা পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসছিল। টাকা না পেয়ে একজনের হাতে কব্জি কেটে ফেলে রেখে গেছে। অপহৃত বাকি চারজনের এখনো কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে টেকনাফ ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক পুলিশ সুপার জামাল পাশাকে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হালিম বলেন, পাহাড় সন্নিবেশিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও আশপাশ এলাকা থেকে বারবার অপহরণের ঘটনা ঘটছে। আমরা অনেকজনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু এ পাঁচজন অপহরণের বিষয়ে থানায় কেউ কিছু বলেনি। কব্জি কর্তন অবস্থায় একজনকে উদ্ধারের বিষয়েও জানায়নি, তবে বিষয়টি শুনেছি। পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. আশিকুর রহমান বলেন, বাম হাতের কব্জি কাটা জাহাঙ্গীর নামে এক রোহিঙ্গা ছেলে হাসপাতালে ভর্তি আছে। চিকিৎসা চলমান, আপাতত সে বিপদমুক্ত।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com