মুক্তিপণের দাবিতে রাজধানীর খিলক্ষেত থানা এলাকা থেকে অপহৃত এক যুবককে উদ্ধারসহ জড়িত অভিযোগে চার ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. ইকবাল হোসেন হাওলাদার, মো. জাহাঙ্গীর জোমাদ্দার, মো. রাজু ও মো. আলামিন।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) রাতে গাজীপুরের বাসন থানার সালনা বাজার ও ঢাকার খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ-২ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে খিলক্ষেত থানা পুলিশ।
এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার, ৫টি মোবাইল ফোন, একটি চাকু, একটি গামছা, রশি ও নগদ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) গুলশানে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ বলেন, সোমবার সকালে অপহৃত রিমন চন্দ্র দের বাবার কাছে তার মোবাইল নম্বর থেকে ফোন আসে। ছেলের ফোন রিসিভ করার পর অপরপাশ থেকে এক ব্যক্তি বলেন, আপনার ছেলে আমাদের কাছে জিম্মি, ছেলেকে সুস্থ শরীরে ফেরত পেতে চাইলে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে।
কিছুক্ষণ পর অপহরণকারীরা আবার ফোন করে নগদ সার্ভিসের ৩টি নম্বর দিয়ে ৫ লাখ টাকা দিতে বলে। উপায় না পেয়ে ভুক্তভোগীর বাবা তাদের দেওয়া নম্বরে নগদে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন। এ বিষয়ে অপহৃতের বাবা খিলক্ষেত থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
ডিসি শহিদুল্লাহ আরও জানান, অভিযোগ পেয়ে খিলক্ষেত থানা পুলিশের দুটি টিমকে নিয়োজিত করা হয়। তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ক্যান্টনমেন্ট জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলামের নেতৃত্বে ক্যান্টনমেন্ট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মেরিনা আক্তারসহ খিলক্ষেত থানার একটি টিম ওইদিনই অপহৃত রিমনকে উদ্ধার করে। এ সময় এ ঘটনায় জড়িত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিসি গুলশান জানান, গ্রেপ্তাররা একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্র। তারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই ও অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করতো। গ্রেপ্তার প্রত্যেকের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
রিমনের বাবা রঞ্জিত চন্দ্র দে বলেন, আমি খিলক্ষেত থানায় অভিযোগ করার মাত্র ৪-৫ ঘণ্টার মধ্যে আমার ছেলেকে তারা উদ্ধার করেছে। পুলিশের আন্তরিকতা ও তাদের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের জন্য আমার ছেলেকে আমি অক্ষত অবস্থায় ফিরে পেয়েছি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি