বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডের সাজা পাওয়া মীর কাসেম আলীর সঙ্গে দেখা করার জন্য পরিবারকে ডেকেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
শনিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তাদের দেখা করতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মীর কাসেম আলীর স্ত্রী আয়েশা খোন্দকার। তিনি আরো জানান, কারা কর্তৃপক্ষের ডাকার পরিপ্রেক্ষিতে বিকেলে কাশিমপুর কারাগারে মীর কাসম আলীর সঙ্গে দেখা করতে যাবেন স্বজনরা।
শুক্রবার কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর হবে কাশিমপুর কারাগারে।আজ শনিবার বা আগামীকাল রবিবারের মধ্যেই ফাঁসি কার্যকরের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে বলেও জানান কারা কর্মকর্তারা।
এদিকে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করবেন না বলে শুক্রবার জানিয়েছেন মীর কাসেম আলী।
ছেলেকে ফিরে পাওয়ার শর্ত দিয়ে তিন দিন আটকে রাখার পর শুক্রবার তিনি এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কারা কর্মকর্তারা। তার ফাঁসি কার্যকরে এখন আর কোনো বাধা নেই।
মীর কাসেম আলীকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১২ সালের ১৭ জুন গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে ১৪টি অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে দুটি অভিযোগে মীর কাসেমের ফাঁসি ও আটটি অভিযোগে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়। ওই বছরের ৩০ নভেম্বর আপিল করেন মীর কাসেম। চলতি বছরের ৮ মার্চ আপিলের রায়ে মীর কাসেমের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন সর্বোচ্চ আদালত। অন্য ছয়টি অভিযোগে বিভিন্ন মেয়াদে তার কারাদণ্ড বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ১৯ জুন আবেদন করেন মীর কাসেম। তার আবেদনের ওপর ২৪ আগস্ট শুনানি শুরু হয়। মীর কাসেমের রিভিউ আবেদনের ওপর ২৮ আগস্ট শুনানি শেষ হয়। এরপর ৩০ আগস্ট মীর কাসেমের করা আবেদন খারিজ করেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
মীর কাসেমের আইনি লড়াইয়ে রিভিউ আবেদনই ছিল শেষ ধাপ। এই আবেদন খারিজ হওয়ার পর সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার পথ শুধু খোলা ছিল।
বাংলা৭১নিউজ/এসএম