উপসংহার চাইলে এভাবেও টানা যায়, ‘লিওনেল মেসি দুর্দান্ত, উড়ন্ত ইন্টার মিয়ামি।’
বিশ্বকাপজয়ী তারকা যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবে পা রাখার পর থেকে সুসময় যাচ্ছে। অভিষেক ম্যাচে শেষ মুহূর্তে ফ্রি-কিক করে দলকে জিতিয়েছিলেন মেসি। নতুন দলে, নতুন সতীর্থদের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার আগেই তার কাঁধে উঠল অধিনায়কত্বের বড় দায়িত্ব।
নতুন অধিনায়ক নিজের অধিনায়কত্বের অভিষেকেও ছড়ালেন দু্যতি। আটলান্টাকে ৪-০ ব্যবধানে হারানোর ম্যাচে মেসি জোড়া গোল করেছেন। অ্যাসিস্ট করেছেন একটি। মেসি বাদে দুটি গোল করেছেন রবার্ট টেইলর।
এই জয়ে লিগস কাপের নকআউটে রাউন্ডে পৌঁছে গেল ইন্টার মিয়ামি।
আগের ম্যাচে শুরুর একাদশে ছিলেন না মেসি। অধিনায়ক মেসি এবার শুরু থেকেই মাঠে। সঙ্গে নিয়ে নেমেছিলেন পুরোনো সতীর্থ সার্জিও বুসকেতসকেও। দুজনের রসায়নে ম্যাচের ৮ মিনিটেই গোল পেয়ে যায় মিয়ামি।
বুসকেতসের বাড়ানো বল ডি বক্সের বাইরে থেকে মেসি শট নিলে গোলপোস্টে বাধাপ্রাপ্ত হয়। দ্বিতীয় দফায় তার সামনেই বল চলে আসে। এবার ডান পায়ের আলতো টোকায় মেসি বল জালে জড়ান।
২২ মিনিটে দ্বিতীয় গোলের দেখা পান এই সুপারস্টার। বক্সের বাইরে থেকে মেসি বামপ্রান্তে টেইলরকে বল বাড়ান। ভেতরে বল পেয়ে ক্রস করেন টেইলর। ততক্ষণে মেসি আনমার্ক হয়ে পড়েন। ডানপায়ের আলতো টোকায় গোলাপী জার্সিতে দ্বিতীয় গোল পেতে মেসির বেগ পেতে হয়নি।
বিরতির আগে মিয়ামি আরো এক গোল করে আটলান্টাকে নাস্তানাবুদ করে। এবার টেইলর নিজে গোল করে ব্যবধান বাড়ান। ক্রেমাসচির পাস থেকে দুর্দান্ত শটে গোল করেন টেইলর। এবং বিরতির পর ৮ মিনিটে তাকে দিয়ে গোল করান মেসি।
৫৩ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে মধ্যমাঠ থেকে মেসি বল নিয়ে একাই এগিয়ে যান। ডি বক্সের খুব কাছে গিয়ে অধিনায়ক বল বাড়ান টেইলরকে। সেখানে ঠাণ্ডা মাথায় বল লক্ষ্যভেদ করেন টেইলর।
দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে মেসি মাঠ ছাড়েন ৭৭ মিনিটে। ম্যাচের বাকিটা সময় গোল করতে না পারলেও গোল হজম করেনি ইন্টার মিয়ামি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি