সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬:২৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ইসলামী ব্যাংকের সচেতনতা বিষয়ক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত ‘দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই’ বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ করতে চায় কানাডা কুমিল্লায় বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু দূতাবাসগুলোর কার্যক্রম তদারকির নির্দেশনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাস্থ্যসেবার আওতাধীন খাতে ইউজার ফি আদায়ে নীতিমালার সুপারিশ ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে সরকার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সহজলভ্য উৎস খোঁজার তাগিদ প্রতিমন্ত্রীর বান্দরবানে বন্দুকযুদ্ধে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত সুইজারল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন স্পিকার জঙ্গিবাদ পুরোপুরি নির্মূল না হলেও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে: আইজিপি টেকসই উন্নয়নে সময়োপযোগী আর্থিক ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে ইশরাক ১৬ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে পালানোর সময় জনতার হাতে ধরা পুলিশ কর্মকর্তা কঙ্গোতে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা বাবাকে খুঁজে পেতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপির মেয়ে ডিবিতে কালশী ট্রাফিক বক্সে আগুন দিলো অটোরিকশাচালকরা কমলাপুর আইসিডি’র নিয়ন্ত্রণ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে নিতে সুপারিশ ভোট কম পড়ার বড় ফ্যাক্টর বিএনপি : ইসি আলমগীর অভিবাসী কর্মীদের টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে কাজ করছে সরকার

মিয়ানমার সেনাদের ‘একঘরে’ করতে বলেছে জাতিসংঘ

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ১৫ মে, ২০১৯
  • ৭০ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে ‘একঘরে’ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছে মিয়ানমারবিষয়ক জাতিসংঘের স্বাধীন আন্তর্জাতিক তথ্যানুসন্ধানী মিশন। যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং গণহত্যার অভিযোগে জাতিসংঘের ওই মিশন মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কমান্ডারদের বিচারের আহ্বান জানিয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের ওয়েবসাইট জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার মিয়ানমারবিষয়ক জাতিসংঘের স্বাধীন আন্তর্জাতিক তথ্যানুসন্ধানী মিশন (এফএফএম) এসব আহ্বান জানিয়েছে।

বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ায় ১০ দিনের সফর শেষে এফএফএমের চেয়ারপারসন ও ইন্দোনেশিয়ার সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মারজুকি দারুসমান বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে দেওয়া সব ধরনের আর্থিক ও অন্যান্য সহযোগিতা বন্ধ করে ওই বাহিনীর কমান্ডারদের একঘরে করা প্রয়োজন। মিয়ানমার সংঘাত নিরসনে এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে চলে যাওয়া রোহিঙ্গাসহ সবার মানবাধিকার রক্ষায় যথেষ্ট পদক্ষেপ নেয়নি বলে এসব পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। তাঁর মতে, সংকট নিরসনে মিয়ানমার কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় পুরোপুরি অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

বাংলাদেশে তথ্যানুসন্ধানী মিশন কক্সবাজারের কুতুপালং শিবির পরিদর্শন করেছে। সেখানে দারুসমান রোহিঙ্গাদের জানান, তথ্যানুসন্ধানী মিশনের মেয়াদ চলতি সেপ্টেম্বরে শেষ হবে। এরপর এই মিশন মানবাধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠিত মিয়ানমারবিষয়ক নতুন স্বাধীন তদন্ত ব্যবস্থার হাতে তথ্য-প্রমাণ হস্তান্তর করবে।

মারজুকি দারুসমান বলেন, মিয়ানমার সরকারের উচিত সে দেশে অবস্থানরত অবশিষ্ট রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জীবনমানের প্রকৃত উন্নয়নে মনোযোগী হওয়া। ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা ২০১২ সালের সহিংসতার সময় বাস্তুচ্যুত হয়ে এখন এমন শিবিরে বসবাস করছে, যেখানে চলাচলের স্বাধীনতা সীমিত। তাঁর মতে, রাখাইনে ২০১৭ সালে কিংবা ২০১২ ও ২০১৬ সালে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর হওয়া নিপীড়ন কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।

মিশনের সদস্য অস্ট্রেলিয়ার সাবেক মানবাধিকার হাইকমিশনার ক্রিস্টোফার সিডোটি বলেন, অতীতে সংগঠিত এবং অব্যাহত মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরিপ্রেক্ষিতে দায়ী ব্যক্তিদের শনাক্ত করা, মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়ানোর অংশ হিসেবে অর্থের সরবরাহ বন্ধ করা এবং সহিংসতা কমাতে অবশ্যই মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও আর্থিক যোগাযোগগুলোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে গত সেপ্টেম্বরে স্বাধীন তথ্যানুসন্ধানী মিশন ৪৪৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দেয়। এতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী কীভাবে দেশজুড়ে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার লোকজনের ওপর নৃশংস ও পদ্ধতিগতভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, তার চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর ২০১৭ সালে সেনাবাহিনীর অভিযান ছিল মূল প্রতিপাদ্য। ওই বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তাচৌকিতে হামলার জেরে সেখানে অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী। নির্বিচারে হত্যা করা হয় হাজারো রোহিঙ্গাকে। নারী ও কিশোরীদের ধর্ষণ ও যৌন হয়রানি করা হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় গ্রামের পর গ্রাম। দুই মাসের মধ্যে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে চলে যেতে বাধ্য হয়। তবে মিয়ানমারের সরকার ও সেনাবাহিনী এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

বাংলা৭১নিউজ/এস.এ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com