গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাসের সরবরাহ লাইনের পাইপ ফেটে প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বের হচ্ছে গ্যাস। ফলে যেকোনো সময় আগুন লেগে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসি। নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে চলাচল করছে যানবাহন এবং মানুষ।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই শিল্পাঞ্চলের হাটুভাঙ্গা ওভার-ব্রিজ এলাকায় মহাসড়কের পাশে গ্যাস বের হওয়ার এমন ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার (২৬ জুলাই) ঘটনাস্থল ঘুরে দেখা গেছে, মহাসড়কের মাটি ভেদ করে পাইপ দিয়ে বুদবুদ করে গ্যাস বের হচ্ছে। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির টাঙ্গাইলের জোনাল অফিস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছে, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গোড়াই শিল্পাঞ্চলের একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, দীর্ঘ দিন ধরে গোড়াইতে গ্যাসের পাইপ দিয়ে গ্যাস বের হচ্ছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ব্যস্ততম ও জাতীয় একটি মহাসড়ক। উত্তরাঞ্চলের ২২ জেলাসহ টাঙ্গাইল, জামালপুর ও শেরপুর জেলার ১৩৫টি রোডের যানবাহন চলাচল করে এ সড়ক ধরেই।
মহাসড়ক ঘেঁষে উত্তরাঞ্চলের গ্যাস সরবরাহ লাইন স্থাপন করা হয়েছে। তবে মহাসড়কের ফোর লেনের কাজের সময় গ্যাস লাইনের কয়েকটি স্থানে পাইপ ফেটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে গোড়াই থেকে ক্যাডেট কলেজ পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নিয়মিত গ্যাস বের হচ্ছে। ফলে এলাকায় বিরাজ করছে আতঙ্ক।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টু বলেন, গোড়াই মূলত একটি শিল্পাঞ্চল এলাকা। দীর্ঘদিন ধরেই গোড়াইতে গ্যাসের পাইপ দিয়ে গ্যাস বের হচ্ছে। ছোট-বড় মিলে অর্ধশতাধিক কারখানায় হাজার হাজার শ্রমিক কর্মরত এবং তারা এই মহাসড়ক দিয়েই যাতায়াত করেন। যেকোনো সময় গ্যাস থেকে আগুন লেগে বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টির দিকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করলেও কর্তৃপক্ষ আজ পর্যন্ত ব্যবস্থা নেয়নি।
এ ব্যাপারে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির টাঙ্গাইলের জোনাল অফিসের ম্যানেজার মো. আব্দুর রউফ বলেন, ওভার-ব্রিজ ও ফোর লেনের কাজ করার সময় মির্জাপুরের গোড়াইতে পাইপ ফেটে গ্যাস বের হওয়ার অভিযোগ আসার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অপারেশন বিভাগকে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে ঢাকা থেকে কারিগরি কমিটির কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থলে এসেছেন। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএন