টাইগারদের সেই পুরনো রোগ ব্যাটিং ব্যর্থতা আবারও দেখা গেলো দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। প্রোটিয়া বোলারদের বোলিং তোপে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপ। যার ফলে মাত্র ৪৫ রান তুলতেই সাজঘরে ফিরে গেছেন ৫ টাইগার ব্যাটার।
আজ সোমবার (২১ অক্টোবর) মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে আজ ওপেনিংয়ে নামেন সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান জয়। তবে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ভেঙে যায় এই জুটি। ৪ বলে শূন্য রান করে উইয়ান মুল্ডারের বলে স্লিপে এইডেন মার্করামের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান সাদমান ইসলাম। তার বিদায়ে ৬ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
সাদমানের বিদায়ের পর সাজঘরে ফিরে যান মুমিনুল হকও। তাকেও ফেরান উইয়ান মুল্ডার। উইয়ান মুল্ডারের বলে উইকেটরক্ষক কাইল ভ্যারিয়েনের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান মুমিনুল । তার বিদায়ে ১৩ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
সাদমান, মুমিনুলকে ফেরানোর পর টাইগার শিবিরে আবারও আঘাত হানেন উইয়ান মুল্ডার। এবার তার শিকার হন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৭ বলে মাত্র ৭ রান করে উইয়ান মুল্ডারের বলে এক্সট্রা কাভারে কেশব মহারাজের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। তার বিদায়ে ২১ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
২১ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর জুট গড়েন মাহমুদুল হাসান জয় ও মুশফিকুর রহিম। এই জুটিতে ভর করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে বাংলাদেশ। তবে তারাও ব্যর্থ হন নিজেদের জুটিকে বেশিদূর নিয়ে যেতে। দলীয় ৪০ রানে মুশফিকের বিদায়ে ১৯ রানেই ভেঙে যায় এই জুটি।
মুশফিকের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন লিটন দাস। তবে ২০ বলে মাত্র ১ রান করে কাগিসো রাবাদার বলে গালিতে ট্রিস্টান স্টাবসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। তার বিদায়ে ৪৫ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে বাংলাদেশ।
এ ম্যাচ দিয়ে ১০৫তম বাংলাদেশি হিসেবে টেস্ট অভিষেক হচ্ছে জাকের আলী অনিকের। মুশফিকুর রহিমের কাছ থেকে টেস্ট ক্যাপ পেয়েছেন তিনি। ২৬ বছর বয়সি উইকেটরক্ষক টি-২০ দিয়ে গত বছর জাতীয় দলে পা রাখেন। যদিও এখনও জ্বলে উঠতে পারেননি।
বাংলাদেশ একাদশ সাজিয়েছে তিন স্পিনার ও একজন পেসার দিয়ে। জায়গা ধরে রেখেছেন তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রায় এক বছর পর সুযোগ পেয়েছেন নাঈম হাসান। গত বছরের ডিসেম্বরে সবশেষ টেস্ট খেলেছিলেন তিনি। একমাত্র পেসার হাসান মাহমুদ।
বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত, সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয়, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাস, মেহেদি হাসান মিরাজ, জাকের আলী অনিক, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ।
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ: এইডেন মারকরাম, টনি ডি জর্জি, ট্রিস্টান স্টাবস, ডেভিড বেডিংহ্যাম, রায়ান রিকেলটন, ম্যাথিউ ব্রিটজকে, কাইল ভ্যারিয়েনে, উইয়ান মুল্ডার, কাগিসো রাবাদা, কেশব মহারাজ, ডেইন পিড।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ