বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা:তিতাসের অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী এবং স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করছে মিরপুর বাঁশপট্টির মানুষ। এখানকার অরক্ষিত গ্যাসপাইপ এবং সংযোগের কারণে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। কিন্তু এসবের দায় নিতে চান না তিতাসের কর্মকর্তারা।
রাজধানীর মিরপুরের চিড়িয়াখানা রোডের পাশে বাঁশপট্টি এলাকা। সামনে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের নামে সাইনবোর্ড ঝুলানো থাকলেও ভেতরে ঘিঞ্জি আর নোংরা পরিবেশ। এখানে পুকুর আর নর্দমার উপরে বাঁশের খুঁটি আর টিনের ছাউনি দিয়ে বেড়ার তৈরি ঘরে বসবাস করে প্রায় দশ হাজার মানুষ। ভেতরে জ্বলছে অবৈধ গ্যাসের সংযোগে শত শত চুলা।
এসব ঘরে অরক্ষিত গ্যাসপাইপের কারণে মরণ ফাঁদে বসবাস করছে এখানকার মানুষ। ঘরের ভেতর দিয়েই অবৈধ গ্যাস সংযোগে চলছে রান্নার কাজ। দেখার যেন কেউ নেই।ভাড়াটিয়ারা বলেন, ভেতরে যে গ্যাসের লাইনগুলো আছে তা অরক্ষিত। যেকোনো মুহূর্তে একটা দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। ২৫শ’ টাকা ঘর ভাড়া দেই, গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল সব মালিক দেয়। মালিককে অনেক বার বলা হয়েছে কিন্তু তিনি ঠিক করেন না।
আমাদের অনেক ভয় লাগে। অভাবের জন্য এখানে থাকি। এসব ঘরে বসবাসকারী পরিবারগুলো আরও জানান, প্রতিটি চুলার জন্য দিতে হয় ৯শ’ টাকা করে গ্যাস বিল। অনেক সময় ভাড়ার সঙ্গেই কেটে নেয়া হয় গ্যাস বিলের টাকা। এসব বাসার মালিকরা কেউ এখানে থাকেন না।
শুধু টাকা চলে যায় তাদের হাতে।অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিষয়ে জানতে স্থানীয় ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে প্রথম দিন তিনি বলেন, তিনি ঢাকার বাইরে। পরদিন আবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনে কথা বলতে বলতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন।এসব বিষয়ে সাংবাদিকের সামনে প্রকাশ্যে কথা বলতে রাজি না হলেও মিরপুর রোকেয়া সরণীর আঞ্চলিক অফিসের রাজস্ব বিভাগের উপ মহাব্যবস্থাপক মো. রশিদুল আলম বলেন, এসব দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আসছে।
বাংলা৭১নিউজ/এবি