মায়ের সঙ্গে অভিমান করে রাজধানীর হাতিরঝিল লেকের পানিতে ঝাঁপিয়ে আত্মহত্যা করেছেন কিশোরী রিয়া। বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবছর এসএসসি পরীক্ষা দেন রিয়া।
শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ প্লাজা সংলগ্ন ব্রিজ থেকে তিনি পানিতে লাফিয়ে পড়েন। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
নিহত রিয়া ভাটারা থানার নুরের চালা এলাকায় পরিবারের সঙ্গে বাস করতেন। তার বাবা স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে কাজ করেন।
রোববার (২৩ জুলাই) হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. আওলাদ হোসেন বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় রিয়া তার এক বান্ধবীকে নিয়ে বাসা থেকে বের হন। এরপর আর বাসায় ফেরেননি। তারা দুজনই এবছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। শনিবার তার মা সর্বশেষ বনানীর কড়াইল বস্তি এলাকায় দেখেন তাকে। কিন্তু মাকে দেখে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যান রিয়া। পরে শনিবার রাতে রিয়ার মা থানায় এসে বিস্তারিত জানালে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় দেখা যায় রিয়া বনানী এলাকায়।
তিনি বলেন, রিয়ার সঙ্গে থাকা বান্ধবীর বাসা শাহজাদপুর এলাকায়। তার বাবা প্রবাসী। শাহজাদপুর এলাকায় তার এক খালার সঙ্গে থাকতেন। পরে তাকে বাসা থেকে ভাটারা থানায় নিয়ে আসা হয়। এই সময়ে সে ফোনে তাকে থানায় আনার বিষয়টি একজনকে জানায়। বিষয়টি রিয়াও জানতে পারে। পরে হাতিরঝিল এলাকায় হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করা এক হকারের মোবাইল থেকে মাকে ফোন করে তাকে খোঁজার কারণ জানতে চান ও বান্ধবীকে আটক করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তার বান্ধবীকে আটকের কারণ জানতে চান।
পরে রিয়ার মা হাওয়াই মিঠাই ব্যবসায়ীকে অনুরোধ করেন, তার মেয়েকে যেন কিছুসময় দেখে রাখেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে হাতিরঝিল ব্রিজ থেকে পানিতে লাফ দেন রিয়া। পরপরই হাওয়াই মিঠাই ব্যবসায়ী পানিতে লাফ দেন। কিন্তু ততক্ষণে পানিতে তলিয়ে যান রিয়া। পরে তাকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার করে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি