মালয়েশিয়ায় বৈধ হতে নিবন্ধন করেছেন সাত লাখেরও বেশি অবৈধ অভিবাসী। দেশটির অভিবাসন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ওয়ার্কফোর্স রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম (আরটিকে) ২.০-এ ৫১ হাজার ৭৫৩ জন নিয়োগকর্তার মাধ্যমে সাত মাসে ৭ লাখ ৯৯৯ অবৈধ অভিবাসী (পার্টি) নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্য কতজন বাংলাদেশি নিবন্ধন করেছেন তা জানা যায়নি।
ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক রুসলিন জুসোহ বলেছেন, ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট (জিম) এর মাধ্যমে সরকার নির্ধারিত কঠোর শর্ত অনুযায়ী বৈধ এবং যোগ্য নিয়োগকর্তাদের দ্বারা নিযুক্ত বিদেশি কর্মীদের (অবৈধ অভিবাসী) নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি বিশেষ কর্মসূচি হিসাবে বাস্তবায়িত হয়েছিল। আরটিকে ২.০ গত ২৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া বৈধকরণ প্রক্রিয়া চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
২৭ জানুয়ারি থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত খাতের (সেক্টর) ভিত্তিতে সবচেয়ে বেশি আবেদন আসে নির্মাণ খাত থেকে যা ৩ লাখ ৬২ হাজার ৭৭৫, সেবা খাতে ২০৪,৬৪৭, উৎপাদন খাতে ৫৪,২২৪, কৃষি খাতে ৫৪,১৬৩, বৃক্ষরোপণ ৪০,২২৮, গৃহকর্মী ৩,৮২৫ এবং খনি ও খনন খাত থেকে।
২৬ জুলাই হারিয়ান মেট্রোতে এক সাক্ষাৎকারে ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক রুসলিন জুসোহ বলেছেন, নিয়োগকর্তারা আরটিকে প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের সুযোগ গ্রহণ করবেন না এবং নথিপত্র নেই এমন কর্মী নিয়োগ করছেন বলে প্রমাণিত হবে, তাদের গ্রেপ্তার করা হবে এবং ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ (অ্যাক্ট ১৫৫) এবং রেগুলেশনস অ্যান্ড পাসপোর্ট অ্যাক্ট ১৯৬৬ (অ্যাক্ট ১৫০) অনুযায়ী নিয়োগকর্তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক রুসলিন জুসোহ। ছবি সংগৃহীত
নিয়োগকর্তারা অভিবাসী কর্মীদের অবৈধভাবে নিয়োগের জন্য ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ এর ধারা ৫৫ই এর অধীন হতে পারেন যাদের ১০ হাজার রিঙ্গিত থেকে ৫০ হাজার রিঙ্গিত জরিমানাসহ জেল এবং বেত্রাঘাতও করা হবে।
পরিচালক বলেন, ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ এর ৫৫ই ধারা অনুসারেও তদন্ত করা হবে যা অবৈধ অভিবাসীকে নিয়োগ দেয়। এক্ষেত্রে দোষী সাব্যস্ত হলে, প্রত্যেক অভিবাসীকে ৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার রিঙ্গিত বা অনধিক ১২ মাসের কারাদণ্ডসহ উভয়দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি