বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চাচাকে বাবা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিসিএস ক্যাডার! হাইকোর্টের নতুন রেজিস্ট্রার হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী লামায় অগ্নিসংযোগ: ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে উপদেষ্টা-প্রশাসন নসরুল হামিদের ৩৬ কোটি টাকার সম্পদ, অস্বাভাবিক লেনদেন ৩১৮১ কোটি তিন উপদেষ্টাকে বিপ্লবী হতে বললেন সারজিস আলম জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম ফায়ার ফাইটার নিহতের ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা কোরিয়া থেকে ৬৯৩ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার সাভারে বন্ধ টিএমআর কারখানা চালুর নির্দেশনা উপদেষ্টার দুদকের সাবেক কমিশনার জহুরুল হকের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু কনস্টাসকে ধাক্কা দেওয়ায় কোহলিকে আইসিসির শাস্তি শেখ হাসিনা-শেখ রেহানার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার দাবি ফখরুলের ১১ বছর পর দেশে ফিরছেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক যারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করেছেন, তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত প্রাণ এএমসিএলের ৩২ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন সেতু মন্ত্রণালয় থেকে বাদ যাচ্ছে ১১১৮৬ কোটি টাকার অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বিমানের সিটের নিচে মিলল ২০ সোনার বার, যাত্রী আটক ‘পিলখানা হত্যায় নিরপেক্ষ থেকে ষড়যন্ত্র চিহ্নিত করা হবে’ চোখের জলে এক বীরকে বিদায় দিল ফায়ার সার্ভিস

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি সাংবাদিক অপহরণ, গ্রেফতার ৬

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৩
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

মালয়েশিযায় এক বাংলাদেশি সাংবাদিককে অপহরণের অভিযোগে স্থানীয় তিন সরকারি কর্মকর্তাসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ। সোমবার (১৩ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন সেলাঙ্গর রাজ্যে পুলিশ।

পুলিশের উধ্বৃতি দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, গত ৭ নভেম্বর অপহরণের ঘটনা ঘটে। তিনদিন পর ৯ নভেম্বর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অপহৃত বাংলাদেশি একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সাংবাদিক। পাশাপাশি মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তার নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।

বিবৃতিতে সেলাঙ্গর রাজ্যের পুলিশ প্রধান হুসেইন ওমর খান বলেন, সাংবাদিকের ভাগিনার দায়ের করা অভিযোগে গত ১০ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে ক্লাং উপত্যকায় অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারদের মধ্যে একজন বাংলাদেশিও রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে ওই বাংলাদেশির নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, অভিযান চালিয়ে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা অপহরণের সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করা যাচ্ছে। সেলাঙ্গর রাজ্যের পুলিশ প্রধান জানান, তিন সরকারি কর্মচারীকে আরও তদন্তের জন্য গোম্বাক জেলা পুলিশ সদর দফতরের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (বিএসজে) কার্যালয়ে ডেকে পাঠানো হয়। এরপর তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে স্থানীয় তিন বেসামরিক নাগরিককেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া আরও তিনজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রথম তিনজনকে মালয়েশিয়ার দণ্ডবিধির ৩৮৫ ধারা এবং অপর তিনজনকে ৩৪২ ধারা অনুযায়ী গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাদের দুই দিনের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হয়।

মুক্তি পাওয়ার পর ভুক্তভোগী (সাংবাদিক) হারিয়ান মেট্রোতে এক সাক্ষাৎকারে জানান, নিজেদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য দাবি করে তিনজন স্থানীয় ব্যক্তি তার পুত্রজায়ার বাসায় প্রবেশ করে এবং থানায় মামলার কথা বলে তুলে নেয়। পরে তাকে সেলাঙ্গর রাজ্যের শাহ আলমের একটি অজ্ঞাত জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের সঙ্গে আরও কয়েকজন ব্যক্তি যোগ দেয়

সেখান থেকে একটি বিএমডব্লিউ গাড়িতে করে তাকে গভীর জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়। জঙ্গলের ভেতর তাকে মারধর শুরু করে অপহরণকারীরা। মারধরে দেলোয়ার হোসেন ও কাজী নামে দুই বাংলাদেশি সরাসরি যুক্ত ছিল সেই সঙ্গে ১৯ লাখ মালয় রিঙ্গিত মুক্তিপণ দাবি করে বলে এ প্রতিবেদককে জানান ভুক্তভোগী সাংবাদিক।

তিনি জানান, মানি-লন্ডারিং ও সিন্ডিকেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশি কর্মীদের সঙ্গে প্রতারণার বিরুদ্ধে কাজ করায় তাকে অপহরণ করা হয়েছে।

তিনি জানান, সেখান থেকে এক ঘণ্টারও বেশি পথ পাড়ি দিয়ে তারা তাকে সেলাঙ্গরের ক্লাংয়ের একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেই বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর আবারও শুরু হয় নির্যাতন। এতে হাত-পাসহ সারা শরীরে ক্ষত তৈরি হয়। নির্যাতনের এক পর্যায়ে তাকে একটি ভিডিও দেখানো হয়। যেখানে একটি লোককে জবাই করা হচ্ছে বলে দেখা যায়।

ওই ভিডিও দেখিয়ে হুমকি দেওয়া হয়, তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ না দিলে তার সাথেও একই কাজ করা হবে অর্থাৎ জবাই করে হত্যা করা হবে। এতে প্রচন্ড ভয় পেয়ে যান সাংবাদিক। প্রাণভয়ে অপহরণকারীদের ৫০ হাজার মালয় রিঙ্গিত অনলাইনে ট্রান্সফার করে দেন ভুক্তভোগী।

সাংবাদিক বলেন, পরদিন (৮ নভেম্বর) অপহরণকারীদের একজন তার শরীরের ক্ষতের চিকিৎসার জন্য ক্লিনিকে নিয়ে যায়। ওই সময় ক্লিনিক থেকে পালিয়ে যান তিনি। অনেকের কাছে সাহায্য চাইলেও কেউ সাহস করে এগিয়ে আসেনি। তারা আবারও তাকে ধরে নিয়ে যায় এবং নির্যাতন করে।

অপহরণের তৃতীয় দিন (৯ নভেম্বর) সাংবাদিককে সেলাঙ্গর রাজ্যের ক্লাংয়ের কাপার এলাকার একটি ব্যাংকের পাশে ছেড়ে দেওয়া হয়। মুক্তি পাওয়ার পর সাংবাদিক গোমবাক জেলা পুলিশ সদর দফতরে (আইপিডি) একটি অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সেলাঙ্গর পুলিশ প্রধান হোসেন ওমর খান।

এদিকে অপহরণের শিকার বাংলাদেশি সাংবাদিক মুক্তি পেলেও নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে ফোন করে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন তিনি।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com