বাংলা৭১নিউজ, শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুর থেকে শাহরিয়ার শাকির : শেরপুরের ইদ্রিস এন্ড কোম্পানী প্রাইভেট লিমিটেড এর ডিএমডি আব্দুল কাদের ও ম্যানেজার ক্যাশ সুফিয়া পারভীন যোগসাজশ করে কোম্পানীর ৭৩ লক্ষ ২৯ হাজার ৯শ ৪ টাকা চুরি ও আত্মসাত করে পালিয়েছে।
টাকা চুরি ও আত্মসাতের ঘটনা থেকে বাঁচতে সুফয়া পারভীন ডিএমডি আব্দুল কাদেরকে প্রধান স্বাক্ষী করে আদালতে কোম্পানীর মালিক ও চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: ইদ্রিস মিয়া, তার স্ত্রী এবং কোম্পানীর আরো দ্ইু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করার পর আদালতে প্রাথমিকভাবেই ঘটনার সত্যতা না পাওয়ায় তা খারিজ করে দিয়েছেন বিচারক।
আদালত, কোম্পানীর দায়েরকৃত মামলা ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়, শেরপুরের ইদ্রিস এন্ড কোম্পানী প্রাইভেট লিমিটেড এর ডিএমডি আব্দুল কাদের ও ম্যানেজার ক্যাশ সুফিয়া পারভীন কোম্পানী গুরুত্বর্পূন দায়িত্ব থাকাকালীন তাদের উভয়ের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক পরিলক্ষিত হওয়ার প্রেক্ষিতে একে অপরের যোগসাজাসে প্রধান কার্যালয় হতে ডিএমডি আব্দুল কাদের ৫২ লক্ষ ০২ হাজার ৫শ ৭৫ টাকা ও ম্যানেজার ক্যাশ সুফিয়া পারভীন ২১লক্ষ ২৭ হাজার ৩শ ২৯ টাকাসহ সর্বমোট ৭৩ লক্ষ ২৯ হাজার ৯শ ৪ টাকা নগদ ও ভূয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে চুরি ও আতœসাৎ করে।
কোম্পানীর অডিটে তা চিহ্নিত হওয়ার পর তারা উভয়ই কোম্পানীর কর্মকর্তাদের মোকাবেলা উল্লেখিত পরিমান টাকা চুরি ও আতœসাৎ করার কথা স্বীকার করে তা ফেরৎ দেবে বলে উল্লেখিত পরিমান টাকার চেক প্রদান করে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে টাকা পরিশোধ না করে, তারা উভয়ই পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে কোম্পানীর ম্যানেজার এ এইচ এম কামরুজ্জামান রিপন বাদী হয়ে, গত ১৬ এপ্রিল তাদের নামে শেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এ ছাড়া তাদের নামে ময়মনসিংহ ও জামালপুরেও অর্থ চুরি ও আত্মসাতের আরো দুটি মামলা রয়েছে।
একই সাথে কোম্পানীর পক্ষ তাদের সাথে লেন দেন না করার জন্য বিভিন্ন গণ মাধ্যমে সতর্কিকরণ বিজ্ঞপ্তিও জারি করে। আর এঘটনার পর কোম্পনাীর টাকা ফেরত দেয়া থেকে বাঁচতে গত ২৬ এপ্রিল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ম্যানেজার ক্যাশ সুফয়া পারভীন বাদী হয়ে ডিএমডি আব্দুল কাদেরকে প্রধান স্বাক্ষী করে আদালতে কোম্পানীর মালিক ও চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: ইদ্রিস মিয়া, তার স্ত্রী এবং কোম্পানীর আরো দ্ইু কর্মকর্তা লুৎফর রহমান ঠান্ডা ও আহালী মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
পরে আদালতে শোনানী শেষে গত ৩০ এপ্রিল এ ঘটনার প্রাথমিক ভাবেই কোন সত্যতা না পাওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জনাব অমূল্য কুমার সরকার মামলাটি সরাসরি নাকচ বা খারিজ করে দেয়ার আদেশ প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, আলহাজ্ব মো: ইদ্রিস মিয়া দীর্ঘদিন ধরেই কিডনি, ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে ভূগছেন এবং বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের একাধিক বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের অধীনে চিকিৎসাধীন আছেন। এ অবস্থায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের ঘটনায় বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/বিকে