মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
কৃষি উপদেষ্টার সাথে নরওয়ের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ আবু সাঈদের নামে ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার দাবি আরও ২৯ সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল নরসিংদীতে স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা নেত্রকোণায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সাবেক সেনাসদস্যসহ ২ জনের মৃত্যু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ১২ কেজি এলপিজির দাম কমলো ১ টাকা গান-বাজনার আড়ালে তাপসের কুকীর্তির অজানা অধ্যায় অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা ও জিএসপি নীতির সংশোধন চায় বাংলাদেশ সময় নেন তবে ফখরুদ্দিন-মঈনের মতো যেন না হয়: ফারুক সাবেক এমপি মেজর মান্নানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত বায়ুমান ব্যবস্থাপনা কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা পিলখানা হত্যা মামলার পুনঃতদন্তে হাইকোর্টের রুল সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ৯ নির্দেশনা নগর পিতা নয়, সেবক হিসেবে মানুষের পাশে থাকব : শাহাদাত আ.লীগের বড় রাজনৈতিক ভুল কী ছিল, জানালেন হাছান মাহমুদ দেশের পরিস্থিতি কিন্তু একটু ঘোলাটে : মির্জা আব্বাস সাংবাদিক মোল্লা জালাল গ্রেফতার ময়মনসিংহে ফিলিং স্টেশনে আগুনে নিহত বেড়ে ৩

মার্কিন ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক
  • আপলোড সময় বুধবার, ৩ মে, ২০২৩
  • ৩১ বার পড়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জাহাজ নির্মাণ, অটোমোবাইল ও ফার্মাসিউটিক্যালসে বিনিয়োগ করার জন্য মার্কিন ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছেন। শুধু মার্কিন বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি নিবেদিত ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ রাখার প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদের আমাদের নবায়নযোগ্যযোগ্য জ্বালানি, জাহাজ নির্মাণ, অটোমোবাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস, হালকা ও ভারী যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক সার, আইসিটি, সামুদ্রিক সম্পদ এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম ইত্যাদিসহ অনেক গতিশীল ও সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে বিনিয়োগ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

বাংলাদেশে সুযোগ অন্বেষণ ও বিনিয়োগের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী নেতাদের প্রতিও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

‘ইউএস-বাংলাদেশ ইকোনমিক পার্টনারশিপ: শেয়ার্ড ভিশন ফর স্মার্ট গ্রোথ’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের এক্সিকিউটিভ বিজনেস গোলটেবিলের মূল বক্তব্য উপস্থাপনের সময় এসব কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে ইউএস-বাংলাদেশ আইটি কানেক্ট পোর্টাল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল ইউএস চেম্বার অব কমার্স ওয়াশিংটন, ডিসির গ্রেট হলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল আমাদের দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমাদের যাত্রায় অংশীদার হিসেবে আমাদের সাথে থাকার জন্য আমি আজকে এখানে আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) এবং ২৯টি হাই-টেক পার্ক স্থাপন করছে।

প্রধানমন্ত্রী এ অঞ্চলে বাংলাদেশের সবচেয়ে উদার বিনিয়োগ নীতির কথা আবারও স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে আইন দ্বারা বিদেশি বিনিয়োগ সুরক্ষা, ট্যাক্স হলিডে, রয়্যালটি রেমিট্যান্স, বাধাহীন প্রস্থান নীতি, লভ্যাংশ ও মূলধন সম্পূর্ণ প্রত্যাবর্তন সুবিধা রয়েছে। আমরা আমাদের বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগ জলবায়ু উন্নয়ন কর্মসূচি’ বাস্তবায়ন করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী অংশীদার হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে আমাদের একক বৃহত্তম রফতানি গন্তব্য, বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের বৃহত্তম উৎস, দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়ন অংশীদার এবং প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।

মার্কিন ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

তিনি আশাবাদী যে যুক্তরাষ্ট্র এই চ্যালেঞ্জিং উদ্যোগে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং পারস্পরিক সুবিধার জন্য একটি মসৃণ ও অনুমানযোগ্য সরবরাহ শৃঙ্খল তৈরির মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি উৎপাদনশীল অংশীদার হবে।

যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের একটি প্রধান অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন সহযোগী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ অনেক ক্ষেত্রে নিবিড় সম্পৃক্ততা রয়েছে। সআমাদের অভিন্ন লক্ষ্য হলো আমাদের জনগণের জন্য পারস্পরিক সুবিধা ও সমৃদ্ধি অর্জন করা। আমাদের ক্রমবর্ধমান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের মধ্যে সম্পর্কের তা প্রতিফলিত হচ্ছে। ২০২১-২০২২ সালে বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১০.৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে এবং ২.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে।

উপকূলীয় অঞ্চলে বাংলাদেশে একটি শিল্প কেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাপানের প্রস্তাবের উদাহরণ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের লক্ষ্য এখন যুক্তরাষ্ট্রসহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অংশীদারদের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নীত করা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের প্রচেষ্টায় গত ১৪ বছরে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য আর্থসামাজিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। বাংলাদেশ এখন সর্বজনীনভাবে ‘আর্থসামাজিক উন্নয়নের রোল মডেল’ হিসেবে স্বীকৃত। সুশাসনের ধারাবাহিকতা, আইনের শাসন ও স্থিতিশীলতা, গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগ, নারীর ক্ষমতায়ন এবং আইসিটি খাতে অগ্রগতির কারণে এটা সম্ভব হয়েছে, যা আমাদের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ অর্জনের পথে এগিয়ে নিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, এ কারণেই ইদানীং বাংলাদেশের ব্র্যান্ড ভ্যালু দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্র্যান্ড ফাইন্যান্স ইউকে জানিয়েছে, বাংলাদেশের ব্র্যান্ড ভ্যালু গত বছর ৩৭ শতাংশ বেড়েছে, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ এবং গ্লোবাল সফট পাওয়ার ইনডেক্স ২০২৩ অনুযায়ী দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে একটি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলা। এই রূপকল্প ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উচ্চ আয়ের উন্নত দেশে পরিণত করবে। স্মার্ট বাংলাদেশ মানে অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়া এবং স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজের ওপর এ ধারণা প্রতিষ্ঠিত।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ একটি গর্বিত নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে ২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে। বাংলাদেশ আজ দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে দ্রুত বিকাশমান অর্থনীতি এবং বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতি। অনুমান করা হচ্ছে এই অর্থনীতি ২০৩০ সালের মধ্যে ২৫তম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক এবং চেয়ারম্যান এক্সেলরেট এনার্জি স্টিভেন কোবোস, বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের গ্লোবাল চেয়ার ইমেরিটাস (বিসিজি) হ্যান্স-পল বার্কনার, মাস্টারকার্ডের গ্লোবাল পাবলিক পলিসি অ্যান্ড ইন্দো-প্যাসিফিক পলিসি অপারেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রবি অরোরা, বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদির, শেভরন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর এরিক ওয়াকার এবং গ্লোবাল হেড অব এক্সপ্রোরেশন অ্যান্ড নিউজ এক্সনমোবিলের ভেঞ্চার ড. জন আর্ডিল উচ্চ-স্তরের গোলটেবিলে বক্তৃতা করেন।

ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট এবং ইউএস চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট-সাউথ এশিয়া অ্যাম্বাসেডর অতুল কেশপ স্বাগত বক্তব্য দেন।

এ ছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, বোয়িং ইন্ডিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার প্রেসিডেন্ট শাইল গুপ্ত, ইউএস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান কেভিন রোপেকে, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র: বাসস

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com