বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে মহামারীর আকার ধারণ করেছে করোনা ভাইরাস। চিনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ডিসেম্বর মাস থেকে এই ভাইরাস ছড়াতে শুরু করেছে। এপ্রিল মাস চলে এল, এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসের আসল উৎস নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। চিনের কথায় বিশ্বাস করতে রাজি নয় অনেক দেশই।
মনে করা হচ্ছে গুহার ভিতরে থাকা বাদুড়কে নিয়ে গবেষণা করছিল চিন। উহান শহরের ল্যাবরেটরিতে চলছিল সেই গবেষণা। সেই ল্যাপ থেকেই ভাইরাস ছড়াতে পারে। ডেইলি মেলে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, উহান ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজিতে চলছিল সেই গবেষণা। তার জন্য বাদুড় ধরে আনা হয়েছিল হাজার মাইল দূরে উনান থেকে। সেই গবেষণার জন্য মার্কিন সরকার ৩.৭ মিলিয়ন ডলার দিয়েছিল।
জানা যায়, সেই উনান শহরের গুহায় থাকা বাদুড়রাই নাকি করোনাভাইরাসের উৎস। ওই সংবাদমাধ্যম আরও জানাচ্ছে, যে চিনের মন্ত্রী নাকি এখন আশঙ্কা করছেন যে কোনও ইনস্টিটিউট থেকে ভাইরাস লিক হয়ে গিয়েই এই মহামারী।
উহানের বাজার থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়ে ছিল বলে যে তথ্য চিন দিয়েছে, তা উড়িয়ে দেওয়া না গেলেও ল্যাবরেটরি থেকে লিক হওয়ার তথ্য বিশ্বাস করছেন অনেক গবেষক। সংবাদমাধ্যমের দাবি মার্কিন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ থেকে পাওয়া টাকা দিয়েই উহানে চলত এই গবেষণা। এমনকি ওই গবেষণাগার থেকে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে। ওই গবেষণাপত্রের শিরোনাম ছিল, discovery of reach gene pool of bat sars related coronavirus provides new insights into the origin of sars corona virus.
এক অসমর্থিত সুত্র দাবি করে, ওই ইনস্টিটিউটে কাজ করা বিজ্ঞানীরা নাকি সংক্রামিত হয়েছিল, ভাইরাস থাকা রক্ত ছিটকে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন তারা। সেখান থেকেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ।
চিনের উহানের ল্যাব থেকেই যে ভাইরাস ছড়িয়েছে, এই ধারণাকে বিশ্বাস করতে চলেছে ব্রিটেনও। এর আগে অবশ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারেবারেই এব্যাপারে চিনকে দোষী ঠাউরিছেন। এবার সেই একই রাস্তায় হাঁটা শুরু করলো ইংল্যান্ডও।
ব্রিটেনের মন্ত্রীরা মনে করছেন, উহানের ল্যাব থেকেই ছড়িয়ে পরেছে এই মরণ ভাইরাস। প্রথম দিকে বলা হচ্ছিল, উহানে পশুদের বাজার থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল মানবদেহে, কিন্তু একই সঙ্গে ল্যাব থেকে ছড়িয়ে পড়ার ধারণাটিকে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলকে একটি স্বাক্ষাৎকারে ব্রিটেনের কোবরা কমিশন জানিয়েছে, উহানের গবেষণাগারে এই মারণ ভাইরাস তৈরির সম্ভাবনাকে কোনও ভাবেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, উহান শহরেই রয়েছে চিনের অত্যাধুনিক গবেষণাগার। যা কিনা আবার উহানের পশু বাজার থেকে কয়েক মাইল দূরে।
বাংলা৭১নিউজ/কলকাতা অনলাইন