বর্তমান ব্যবস্থায় চুরি, ডাকাতি, খুন, ধর্ষণ, অপহরণ, প্রতারণা, জালিয়াতি ও মিথ্যা সাক্ষ্যদানের মতো ফৌজদারি মামলার তদন্ত করে থানা পুলিশ।
বর্তমান ব্যবস্থায় চুরি, ডাকাতি, খুন, ধর্ষণ, অপহরণ, প্রতারণা, জালিয়াতি ও মিথ্যা সাক্ষ্যদানের মতো ফৌজদারি মামলার তদন্ত করে থানা পুলিশ।
১৫ নভেম্বরের মধ্যে ২৪ হাজার ৪৪২ জন মতামত দেন। এতে পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অবসান চান ৮৯.৫ শতাংশ উত্তরদাতা।
এ ক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তি, অনিবাসী বা নিরপরাধ ব্যক্তির নামে অভিযোগ দায়েরের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চান ৭৪.৫ শতাংশ।
আর তদন্তের জন্য গঠিত সংস্থার কাজ হবে শুধুই তদন্ত। এতে তদন্ত কর্মকর্তাকেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করতে হবে না। ফলে তদন্তের গুণগত মানও বাড়বে। পর্যাপ্ত সময় নিয়ে তদন্ত করায় বিচারপ্রার্থী পাবেন সুবিচার। এ ছাড়া পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন নিয়েও কমিশনে আলোচনা চলছে। তবে সেটি চূড়ান্ত হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ সংস্কার কমিশনের এক সদস্য বলেন, ‘আমাদের প্রধান টার্গেটই হচ্ছে কিভাবে মানবিক পুলিশ তৈরি করা যায়। এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, “আমরা চাই এমন একটি পুলিশ বাহিনী হোক, যেখানে পুলিশপ্রধান থেকে শুরু করে কনস্টেবল পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক অনৈতিক আদেশ পালনে তাঁরা যেন ‘না’ বলতে পারেন।”
উদাহরণ হিসেবে এই সদস্য বলেন, ‘কিছুদিন আগে ব্রিটিশ সরকার লন্ডনের পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছিল সেখানে থাকা ফিলিস্তিনের হামাসের প্রতি সমর্থন প্রকাশকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার।
কিন্তু লন্ডনের পুলিশ কমিশনার সরকারকে সাফ জানিয়ে দেন, মানুষের মত প্রকাশ রোধে তাঁরা কোনো কাজ করতে পারবেন না। ব্রিটিশ সরকার পুলিশকে বাধ্য করতে পারেনি। আমরাও চাই বাংলাদেশেও এমন মানবিক পুলিশ হবে। জুলাই আন্দোলনের মতো ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি আর না ঘটে।’
অন্যদিকে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন তাদের সুপারিশমালা এরই মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের সুপারিশেও ফৌজদারি অপরাধের তদন্ত পুলিশের কাছ থেকে সরিয়ে একটি স্বাধীন তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী তানিম হোসেন শাওন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মামলার তদন্তে নানা বাধ্যবাধকতার কারণে পুলিশ প্রভাবমুক্ত হয়ে কাজ করতে পারছে না বলেই একটি বিশেষায়িত পেশাদার তদন্ত সংস্থার প্রয়োজনীয়তা তাঁরা উপলব্ধি করেছেন।
বাংলাদেশে এখন ফৌজদারি অপরাধের তদন্ত করে পুলিশ। এ ছাড়া পুলিশের বিশেষায়িত সংস্থা পিবিআই ও সিআইডিও তদস্ত সংস্থা হিসেবে পরিচিত। পুলিশের লোকজন দিয়েই এসব সংস্থা চলার কারণে তারা পেশাদারির সঙ্গে কাজ করতে পারছে না।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ