বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: দেশের আদালতগুলোয় মামলাজট নিরসনে এক মাসের মধ্যে বিচারপতিদের নিয়ে বসবেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
শনিবার সুপ্রিমকোর্ট মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বিচারাধীন মামলার তুলনায় বিচারক সংখ্যা অপ্রতুল। তাই দিন দিন মামলাজট বাড়ছে।’
আদালতে মামলার আধিক্যের জন্য জনসংখ্যা বৃদ্ধি প্রাথমিকভাবে দায়ী বলে মনে করেন প্রধান বিচারপতি। সুপ্রিমকোর্টের জুডিশিয়াল রিফর্ম কমিটি ও জার্মান ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন (জিআইজেড) যৌথভাবে ‘ন্যাশনাল জাস্টিস অডিটের ফলাফল উপস্থাপন’বিষয়ক ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
জুডিশিয়াল রিফর্ম কমিটির সভাপতি ও আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অডিটের ফল উপস্থাপন করেন আন্তর্জাতিক পরামর্শক এরিক ক্যাডোরা।
অন্যদের মধ্যে জিআইজেড বাংলাদেশের হেড অব প্রোগ্রাম (রুল অব ল) প্রমিতা সেনগুপ্ত ও জুডিথ হারবার্টসন বক্তব্য দেন।
লিখিত বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, দেশে ১০ লাখ মানুষের বিপরীতে ১০ জন বিচারক; যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে ১০৭, কানাডায় ৭৫, ইংল্যান্ডে ৫১, অস্ট্রেলিয়ায় ৪১ ও ভারতে ১৮ জন। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত দেশে ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ মামলা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতির মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়। অন্যদিকে বাংলাদেশে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ মামলা বিচারপূর্ব নিষ্পত্তি হয় এবং ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ মামলা বিচারের জন্য যায়, যা বড় ধরনের মামলাজট তৈরি করে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, মূলত বিচারাধীন বন্দিতে দেশের কারাগারগুলো অতিমাত্রায় পূর্ণ ও সেখানে সংখ্যাতিরিক্ত বন্দি। ব্যবহার ও কর্মপরিকল্পনাগত কারা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে জিআইজেডের আর্থিক সহায়তায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কারা অধিদফতর একসঙ্গে কাজ করছে।
বাংলা৭১নিউজ/এম.এ