জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, বাক-স্বাধীনতা মানুষের জন্মগত অধিকার। মানুষের কথা বলার অধিকার সীমিত করা হচ্ছে। মানুষের কথা বলার অধিকার হরণ করতে বিভিন্ন নিবর্তনমূলক আইন করা হয়েছে। কালো আইনের বেড়াজালে গণমাধ্যমের কণ্ঠ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বনানীস্থ কার্যালয়ে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাংবাদিক সৈয়দ দীদার বখতের ‘আনন্দী প্রেরণা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, প্রজাতন্ত্রের মানে হচ্ছে সাধারণ মানুষই দেশের মালিক। তারা দেশ পরিচালনার জন্য প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। সাধারণ মানুষের ইচ্ছেমতো তাদের প্রতিনিধিত্বকারী সরকার দেশ পরিচালনা করবে। তারা সে অনুযায়ী দেশ চালাতে ব্যর্থ হলে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি পরিবর্তন করবে সাধারণ মানুষ।
এটাই হচ্ছে প্রজাতন্ত্র বা প্রজাদের তন্ত্র। সে ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের ইচ্ছা-অনিচ্ছার খোঁজ-খবর রাখা সরকারের জন্য অত্যন্ত জরুরি। সেভাবে দেখলে সরকারের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে মতামত ব্যক্ত করা জনগণের অধিকার নয়, কর্তব্যও বলা যায়।
রাষ্ট্র পরিচালনার বিষয়ে সাধারণ মানুষ সরকারের সমালোচনা করবে এবং মতামত দেবে এটাই স্বাভাবিক। আমরা দেশে ও মানুষের জন্য রাজনীতি করছি। ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে আমরা গণমানুষের কথা বলবো। সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠাই আমাদের প্রকৃত এজেন্ডা।
এসময় উপস্থিত আরও ছিলেন ভিন্ন মাত্রা প্রকাশনীর মাসুম বিল্লাহ, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান (আদেল) এমপি, কেন্দ্রীয় নেতা জেসমিন নূর প্রিয়াংকা।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ