শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৪০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুলসহ ৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশের দাবিতে লিফলেট বিতরণ এবার কারও পক্ষ নিয়ে কাজ করলে অসুবিধা হবে : কর্মকর্তাদের সিইসি অল্প কিছুদিনের মধ্যে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: মির্জা ফখরুল ইসলামী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা চুরি শেখ হাসিনার দুর্নীতি খুঁজে বের করতে টাস্ক ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত ডিএমপির ১২ ডিসিকে বদলি ‘বৃহত্তর ইসরাইলের’ মানচিত্র প্রকাশ, আরব দেশগুলোর কড়া প্রতিবাদ বিমানবন্দরে রক্তাক্ত সেই প্রবাসীকে জরিমানা, হতে পারে জেলও ৩০ জুনের আগেই মহার্ঘভাতা ঘোষণা মানিকগঞ্জে ডিসির রুমের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান দাবি মানার আল্টিমেটাম দিয়ে ‌‌শাহবাগ ছাড়লেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা শরীয়তপুরে থানা থেকে ওসির মরদেহ উদ্ধার নিক্সন ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে ৩ হাজার ১৬২ কোটি টাকা লেনদেন শহীদ মিনারের পর শাহবাগ অবরোধ বিডিআর সদস্যের স্বজনদের জেনেভা ক্যাম্পের আলোচিত সন্ত্রাসী চুয়া সেলিম গ্রেপ্তার মা‌র্কি‌নিদের হয়ে ঢাকায় বিশেষ দা‌য়িত্ব সামলাবেন ট্র্যাসি জ্যাকবসন বিসিএসে বাদ পড়া ২২৭ জনের বেশিরভাগই চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন রাশিয়ায় বিমানবাহিনীর তেলের ডিপোয় ইউক্রেনের হামলা হাইভোল্টেজ ম্যাচে টস জিতে বরিশালকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো রংপুর

মানিকগঞ্জে চলছে নদী-খাল খনন, জরুরি কাজে ঠিকাদারদের অনিহা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০১৯
  • ১৪১ বার পড়া হয়েছে
বানিয়াজুড়ি খালের মুখটি পুরাতন ধলেশ্বরী নদীতে গিয়ে মিশেছে।

বাংলা৭১নিউজ,মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: দেশে নদী ও খাল খননের মধ্যে দিয়ে নব্যতা ধরে রাখাটা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর চলমান প্রকল্পগুলোর অন্যতম। এরই অংশ হিসাবে ধলেশ্বরী, ইছামতি ও গাজীখালী নদী খননের প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে। ১৪০ কোটি টাকা ব্যয় সম্বলিত এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে মানিকগঞ্জের বিস্তীর্ন এলাকাকে একদিকে যেমন পানি শূণ্যতার কবল থেকে রক্ষা করা যাবে, তেমনি কৃষি ও মৎস্য উৎপাদনও বাড়বে বলে প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।

নদী খননের প্রকল্পের পাশাপাশি চলতি মৌসুমে মানিকগজ্ঞে ৫টি খাল খননের কাজ চলমান রয়েছে। এসব খাল খননের মূল লক্ষ্য হচ্ছে- সারা বছর খালে পানি ধরে রাখা এবং মৎস্য চাষ ও সেচকাজে এই পানিকে ব্যবহার করা। খননকৃত খালগুলোর মধ্যে রয়েছে- বানিয়াজুড়ি ৫কিলোমিটার, উবজানি প্রায় ১৪ কিলোমিটার, নালোরা ২কিলোমিটার, ঘোষবাড়ী ৪ কিলোমিটার ও ঘরিয়ালী ৬ কিলোমিটার। এর মোট খনন ব্যয় ধরা হয় ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এই কাজ শুরু হয় ফেব্রুয়ারিতে এবং শেষ হবে চলতি বছর ডিসেম্বরে।

কাজের অগ্রগতির ব্যপারে জানা যায়, প্রায় ৭০ ভাগ খাল খননের কাজই সম্পন্ন হয়েছে। তবে বানিয়াজুড়ি খালের ৪০০ মিটারের খনন কাজ বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় একজন খালের জমিকে নিজের দাবি করে মামলা করলে আদালত খননকাজে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এছাড়ার বানিয়াজুড়ি খালের পুরো খনন কাজই সম্পন্ন হয়েছে।

এ ব্যপারে বানিয়াজুড়ি এলাকার স্থানীয় অধিবাসী সুমন দাস জানান, এই খাল খননের কাজে তারা সন্তুষ্ট। কাজ নিয়ে এখানে কোন ধরণের অনিয়ম হয়নি। খাল খননে আপনাদের কী লাভ হবে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই খালে সারাবছর পানি থাকবে। এছাড়াও এখানে মাছ থাকবে এবং খালের পানি সেচকাজে ব্যহার করা যাবে। এতে করে এই এলাকার কৃষি উৎপাদন বাড়বে। তবে তিনি এই খালের যে মুখটি পুরাতন ধলেশ্বরী নদীর সাথে যেয়ে মিশেছে, ওই নদীর নব্যতা ফিরিয়ে আনতে খননের উপর গুরুত্বরোপ করেন। তার মতে, এই নদী খনন না করলে বানিয়াজুড়ি খাল খননের সুফল তেমন একটা পাওয়া যাবে না।

মানিকগজ্ঞ পানি উন্নয়ন বিভাগের অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খাল খনন ছাড়াও তাদের মানিকগজ্ঞ টাউন প্রটেকশন কাজ চলমান রয়েছে। ৬টি প্যাকেজে এই কাজ হচ্ছে। এছাড়াও ধলেশ্বরী নদী খনন হবে প্রায় ৪৬ কিলোমিটার, ইছামতি ৩৮ কিলোমিটার ও গাজীখালী ৪৫ কিলোমিটার।

এদিকে মানিকগজ্ঞে পানি উন্নয়ন বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ চলমান থাকলেও ঠিকাদাররা জরুরি কাজ করতে চান না। এ ব্যপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঠিকাদার বলেন, জরুরি কাজ করলে এক বছরের টাকা পরের বছর পাওয়া নিয়েও ঝামেলা হয়। এ প্রসঙ্গে ওই ঠিকাদার বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে ঠিকাদাররা গত ভজর জরুরি কাজের ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা পাবেন। কিন্ত এবছরও এই টাকা পরিশোধ করা হয়নি। এতে করে জরুরি কাজ করার ক্ষেত্রে ঠিকাদারদেও একটা অনিহা কাজ করছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টাকা না থাকায় বাচামারা ও আরিচায় জরুরি কাজ বন্ধ রয়েছে। অথচ এখানকার ভাঙ্গন প্রতিরোধে জরুরি কাজ করাটা একেবারেই অপরিহার্য। কিন্ত টাকা না থাকায় এখানে ঠিকাদাররা কাজ করতে চাচ্ছেন না।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবদুল মতিন বলেন, যেসব স্থানে পাউবো’র নিজস্ব অবকাঠামো রয়েছে; সেখানে ফান্ড থাকুক বা না থাকুক কাজ হবে। পরবর্তি বছরে এই কাজের অর্থ পরিশোধ করার শর্তেই ঠিকাদাররা এসব জরুরি কাজ করছেন। তিনি বলেন, মানিকগজ্ঞের ঠিকাদাররাও এই নিয়মে তাদের গত বছরের পাওনা আগামী জুনে পেয়ে যাবেন। তিনি বলেন, ধলেম্বরী, ইছামতি ও গাজীখালী নদী খননের কাজ আমরা দ্রুতই শুরু করবো।

নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবে মওলা মো. মেহেদী হাসান জানান, পুরাতন ধলেম্বরী নদী খননের ব্যপারে তারা একটি প্রকল্প গ্রহণ করছে। আর মানিকগজ্ঞে তাদের চলমান সকল কাজই যথাসময়ে শেষ করার তাগিদ রয়েছে।

বাংলা৭১নিউজ/এবি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com