বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: শিক্ষা, গড় আয়ু, মাথাপিছু আয় ও লিঙ্গ সমতাসহ বিভিন্ন মাপকাঠিতে উন্নতির ফলে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) মানব উন্নয়ন সূচকে (এইচডিআই) তিন ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। ১৮৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ এখন ১৩৬তম। ২০১৭ সালে অবস্থান ছিল ১৩৯তম। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের আগে আছে কেবল ভারত ও ভুটান। সূচকে সবার ওপরে আছে নরওয়ে।
শুক্রবার ইউএনডিপির ওয়েবসাইটে এ সূচক প্রকাশ হয়।
প্রতিটি দেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আয় ও সম্পদের উৎস, বৈষম্য, লৈঙ্গ সমতা, দারিদ্র্য, কর্মসংস্থান, নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও আর্থিক প্রবাহ, যোগাযোগ, পরিবেশের ভারসাম্য ও জনমিতির তথ্য বিশ্লেষণ করে এই সূচক তৈরি করেছে ইউএনডিপি।
এসবের মানদণ্ডে এবার বাংলাদেশের এইচডিআই মান দাঁড়িয়েছে ০.৬০৮। গত বছরের সূচকে এই মান ছিল ০.৫৭৯। অর্থাৎ স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বৈষম্য ও দারিদ্র্য দূরীকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ প্রায় সব ক্ষেত্রেই উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। এ তালিকায় শীর্ষে থাকা নরওয়ের এইচডিআই মান ০ দশমিক ৯৫৩।
ইউএনডিপির প্রতিবেদন মতে, এই সূচক অনুযায়ী দেশের নাগরিকদের প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল ৭২ দশমিক ৮ বছর। তাদের স্কুলে কাটানোর প্রত্যাশিত সময় গড়ে ১১ দশমিক ৪ বছর এবং বার্ষিক মাথাপিছু আয় (জিএনআই) ৩৬৭৭ ডলার।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের আগে আছে ভারত ও ভুটান। ভারত ১৩১তম। আগের বছর তাদের অবস্থান ছিল ১৩১তম। আর তাদের এইচডিআই মান ০ দশমিক ৬৪০। আর ভুটানের অবস্থান বাংলাদেশের দু’ধাপ ওপরে। তারা আছে ১৩৪তম স্থানে।
তালিকায় বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে আছে পাকিস্তান ও নেপাল। পাকিস্তানের অবস্থান ১৫০, তাদের আগে নেপালের অবস্থান ১৪৯তম।
দক্ষিণ এশিয়ায় ১৯৯০ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত মানব উন্নয়ন সূচকে দ্বিগুণ উন্নতি হয়েছে। খুব কম দেশই এই উন্নতি করেছে। দুই হাজার ডলারের কম মাথাপিছু আয় করেও প্রতিবেশি দেশগুলোর চেয়ে অর্জন ভালো বাংলাদেশের। আমাদের গড় আয়ু ৭২ বছর ছাড়িয়েছে। যা ভারত ও পাকিস্তানে ৬৬ বছর। ৫ বছরের নিচে শিশু মৃত্যুর হার বাংলাদেশে হাজারে ৩৮ এ নেমে এসেছে যা ভারতে ৪৫ এবং পাকিস্তানে ৮১।
লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে অনেক এগিয়েছে বাংলাদেশ। এর থেকে মূল বার্তা হলো যে, তুলনামূলক মাথাপিছু কম আয় করেও বাংলাদেশ মানব উন্নয়নে এগিয়ে গেছে।
মানব উন্নয়ন সূচকে শীর্ষ দশ দেশের মধ্যে নরওয়ের পর রয়েছে যথাক্রমে সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড, জার্মানি, আইসল্যান্ড, হংকং, সুইডেন, সিঙ্গাপুর এবং নেদারল্যান্ড।
তালিকার শেষের দিকে রয়েছে আফ্রিকার দেশ নাইজার, তারপর যথাক্রমে মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, দক্ষিণ সুদান, শাদ ও বরুন্ডি।
বাংলা৭১নিউজ/জেড এইচ