বাংলা৭১নিউজ, মাদারীপুর প্রতিনিধি: অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে সড়ক ও জনপদ বিভাগের অর্ধ কোটি টাকার ৪টি পল্টন ও ১টি পোল । কর্তৃপক্ষের অবহেলায় মাটির নিচে ঢেকে মরিচা পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ফেরীর মুল্যবান ৪টি পল্টন ও ১ টি পোল । ফলে বেহাত হয়ে যাচ্ছে সরকারের অর্ধ কোটি টাকার সম্পদ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর আচমত আলী খান (চীনমত্রী ) সেতু নির্মিত হওয়ার ৩ বছর পরে ফেরি ঘাটের ফেড়ি সহ কিছু মালামাল অন্য কোথাও সরিয়ে নিলেও অবহেলায় ফেলে রেখে যায় সরকারী আরো অর্ধকোটি টাকার মুল্যবান সম্পদ।
সরেজমিনে দেখা গেছে মাদারীপুর মহিষেরচর ও কাজিরটেক ফেড়ি ঘাটে ৪টি ফেরির পল্টন ও ১টি পোল অবহেলায় দীর্ঘদিন পড়ে আছে । সেতু নির্মানের প্রায় ৩ থেকে ৪ বছর পেরিয়ে গেলেও ফেরির বাকি মালামাল গুলো সরিয়ে নেয়নি কতৃপক্ষ। দীর্ঘদিন ধরে কাজিরটেক ফেরি ঘাটে ৩টি পল্টন ও মহিষেরচর ঘাটে ১টি পল্টন ও ১ টি পোল অবহেলায় পড়ে আছে পল্টন গুলো। ফলে দিনে দিনে মাটির সাথে মিশে বিনষ্টহয়ে যাচ্ছে সরকারের অর্ধ কোটি টাকার সম্পদ। আবার স্থানীয় অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, ফেরি ও কিছু পল্টন নেওয়ার সময় নদীর পাড় ভাঙ্গন লেগে নষ্ট হয়ে গেছে ফলে যেকোন সময় জনগন নদীতে গোসল করা বা পানি আনতে গেলে যেকোন সময় র্দুঘটনার ঘটতে পারে বলে তারা মনে কারেন। তাই স্থানীয়দের দাবী তাদের নদীর পাড়ে যেন একটি সুন্দর ঘাট তৈরী করে দেন এবং দ্রুত সময়ের ভিতরে ফেরির বাকি মালামাল গুলো অন্য কোথাও সরানো হলে সরকারের আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি কিছুটা কমবে বলে মনে করেন স্থানীরা।
ঐ এলাকার ব্যাবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রায় ২থেকে ৩ বছর আগে ২টি ফেরি ও ৫থেকে ৬টি পল্টন ও পোল নিয়ে গেলেও মহিষেরচর ফেড়ি ঘাট ও কাজিরটেক সাবেক গোবিন্দপুর ঘাটসহ মোট ৪টি পল্টন ও ১টি পোল রেখে যায়। এদও মধ্যে ২টি পল্টন বালুর ও মাটির মধ্যে অর্ধেক ঢেকে গেছে । সরকারে এই মুলবান সম্পদ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে দেখারমত কেউ নেই।
মানবাধিকার কর্মী এইচ,এম মাসুম হাওলাদার যানায়,অনেকদিন ধরেই ফেরির মালামাল গুলো পড়ে আছে। আচমতআলী খান সেতু হওয়ার ও প্রায় ৩ বছর ধরে ফেরির ৪টি পল্টন ও ১টি পোল অযতœ ও অবহেলায় পড়ে আছে । এতে সরকারের প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয় ক্ষতি হতে পারে বলে আমি মনে করি। তাই সংস্লীস্ট কর্মকরর্তাদের কাছে যোর দাবী যানাচ্ছি সরকারের এই মুলবান সম্পদ যেন নষ্ট হওয়ার আগেই এই মালামাল রক্ষা করা হয়।
সডক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুননবী তরফতার বলেন,যেহেতু কাজিরটেক ফে^রীঘাটে আড়িয়াল খা নদীর উপর দিয়ে আচমত আলীখান ব্রীজ নির্মিত হয়েছে সেহেতু অকেজো ফেরী গ্রলো ইতিমধ্যে অপসারন করা হয়েছে। তবে ফেরীপল্টন ও পোল সড়ক বিভাগের নড়াইল জেলায় প্রয়োজনীয়তার কারনে তাদেরকে হস্তান্তর করা জন ইতিমধ্যেই উদ্ধতর্ন কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিয়েছে। তবে নড়াইল সড়ক বিভাগের কর্তৃপক্ষ গ্রহন না করায় আপাতত অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস