রাজধানীর মিরপুর থেকে এক মাদরাসা ছাত্রীকে অপহরণ করে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর দিয়ে দুবাই পাচারের চেষ্টার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭। পরে গ্রেফতারদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার।
এর আগে শনিবার (২৮ জানুয়ারি) ভোরে চট্টগ্রামের হালিশহরের চৌধুরী পাড়া ও হাটহাজারীর চিপাতলী এলাকা থেকে তিন পাচারকারীকে গ্রেফতার করে র্যাব-৭। পরে গ্রেফতারদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সকাল ৯টায় সাতকানিয়ার নলুয়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- হাটহাজারীর ফরহাদাবাদ গ্রামের মৃত তোফায়েল আহমেদের ছেলে আবু সুফিয়ান রানা (৩১), রানার স্ত্রী শারমিন কাওসার হান্না (২২), চিপাতলী গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে নুরুজ্জামান (৫৫)।
র্যাব-৭ এর সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি অপহৃত ওই ছাত্রীর বড় বোনের সঙ্গে দুবাই প্রবাসী মো. শহিদুল করিমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ভিকটিমের পরিবার জানতে পারেন শহিদুল করিম বাংলাদেশ থেকে দুবাইয়ে নারী পাচারকারী চক্রের সদস্য। শহিদুল বিয়ের পর তার স্ত্রীকেও দুবাইয়ে বিক্রি করে দেন।
গত ৩ জানুয়ারি সকালে ভিকটিম মাদরাসায় যাওয়ার জন্য বের হলেও আর বাসায় ফেরেনি। পরে ভিকটিমের পরিবার জানতে পারে- শহিদুল তার দুই সহযোগীকে দিয়ে তাদের মেয়েকে অপহরণ করে দুবাই পাচারের প্রস্তুতি নিচ্ছে। পরে গত ২৩ জানুয়ারি ভিকটিমের মা বাদী হয়ে রাজধানীর শাহ আলী থানায় মামলা করেন।
ওই মামলায় চট্টগ্রাম থেকে রানা ও তার স্ত্রী শারমিনকে এবং হাটহাজারি থেকে নুরুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়। পরে নুরুজ্জামানের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাতকানিয়ার নলুয়া থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে র্যাব-৭।
র্যাব-৭ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার বলেন, গ্রেফতাররা বিভিন্ন সিন্ডিকেটের সঙ্গে মিলে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে দুবাইয়ে নারীদের পাচার করতেন। সেই উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে চট্টগ্রামে এনে লুকিয়ে রাখেন। গ্রেফতারদের শাহ আলী থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।