বাংলা৭১নিউজ, মোঃ মনজুর-ই-মওলা সাব্বির, নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের সিংড়ায় হামলায় বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করায় নারীসহ ৩ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। আহতদের মধ্যে দুলেনা বেগম নামে এক নারীকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। সোমবার উপজেলার শেরকোলে বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় সিংড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। উল্টে মাদক ব্যবসায়ীরা ভুক্তভোগি ওই পরিবারকে নানা ভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় নানা রকম জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। যে কোন সময় বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের রুপ নিতে পারে বলে আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
থানায় লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার শেরকোল ইউনিয়নের পুলিশের তালিকা ভুক্ত কুখ্যাত গাঁজা ব্যবসায়ী জটু ৫২), শাহিনুর (২০), সুমন (২২), রতন (২৮) সহ এলাকার অন্য গাঁজাখোর ও ব্যবসায়ীরা একই এলাকার চান্দু প্রামানিকের রাই-সরিষার জমির ভিতরে আস্তানা গেড়ে প্রতিদিন দলবল নিয়ে মাদক সেবন ও বিক্রি করে। জমির মালিক চান্দু নিষেধ করলে তারা উল্টে জমির মালিককে নানা ভাবে হুমকি-ধামকি দেয়।
নিরুপয় হয়ে জমির মালিক চান্দু প্রামানিক স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফুল হাবিব রুবেলকে মৌখিক ভাবে জানালে মাদক ব্যবসায়ী জটু ক্ষিপ্ত হয়ে দলবল নিয়ে সোমবার সকালে চান্দু প্রামাণিকের বাড়িতে হামলা করে বাড়ি-ঘর ভাংচুর -লুটপাট ও মারপিট করে নগদ ৬লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত দুলেনা বেগম (৫৫) কে তার ছেলে হেলাল হাসপাতালে নেওয়ার পথে উল্লেখিত ওই মাদক ব্যবসায়ীরা পুনরায় হামলা করে। পরে বাজার এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়।
বর্তমানে গুরুতর আহত দুলেনা বেগমকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মামলার বাদী চান্দু প্রামানিক জানান, ৪/৫ দিন আগে শেরকোল ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফুল হাবিব রুবেলকে মৌখিক ভাবে বিষয়টি জানানোর পর সোমবার সকালে জটু দলবল নিয়ে আমার বাড়িতে গিয়ে গালিগালাজ করে এক পর্যায়ে তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে আমাকে মারপিট করে এবং আমার স্ত্রী দুলেনা বেগম আমাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে গাজা ব্যবসায়ী শাহিনুর আমার স্ত্রীকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে গাঁজা ব্যবসায়ী সুমন আমার ঘরের ভিতর ঢুকে বাক্য্রর তালা ভেঙ্গে ৬লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এঘটনায় সিংড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তবে পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। উল্টে মাদক ব্যবসায়ীরা ভুক্তভোগি ওই পরিবারকে নানা ভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় যে কোন সময় বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের রুপ নিতে পারে বলে আশংকা করছেন স্থানীয়রা। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফুল হাবিব রুবেল এর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত থাকায় কোন কথা বলেননি।
সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ^াস দিয়েছেন তিনি।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস