বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: মাদক মামলায় আটক আসামিদের জন্য আলাদা বিশেষ কারাগারের ওপর গুরুত্বারোপ করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেছেন, আমার মনে হয় স্পেশাল জেল করতে হবে। সেটা টেম্পোরারি হোক আর যাই হোক। কারণ মাদকের আসামিদের আলাদা জেলে নিতে হবে।
রোববার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসনরোধে প্রণীত অ্যাকশন প্লান বাস্তবায়ন’ শীর্ষক এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
র্যাব প্রধান বলেন, বঙ্গোপসাগরে একটা দ্বীপ আইডেন্টিফাই করা যেতে পারে বা বিচ্ছিন্ন কোনো এলাকা..যেখানে ৭০ হাজার থেকে এক লাখ আসামি রাখা যাবে। এ ব্যবস্থা করা দরকার। একইসঙ্গে মাদকের মামলার দ্রুত বিচারের ওপরও জোর দেন তিনি।
বেনজীর আহমেদ জানান, র্যাবের মাদকবিরোধী অভিযানে এ পর্যন্ত ৫৫ জন নিহত এবং ১১ হাজারেরও বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান একটি সার্বিক সংগ্রাম উল্লেখ করে বেনজীর বলেন, “আমাদের দেশে মুশকিল হচ্ছে যে কোনো কিছু শুরু এক শ্রেণির মানুষ চিৎকার শুরু করে। তারা কেন এটা করে আমি জানি না। এটা করে তারা কি পেতে চায়?”
তিনি আরো বলেন, ‘জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানের সময়ও রাতের পর রাত টেলিভিশনের পর্দা ফাটিয়ে দিয়ে তারা আলোচনা করেছিল যে আমরা ভুল করছি, কিছুই জানি না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এবং তিনি দেশবাসীকে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন বলে যখনই বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করেছে প্রত্যেকবার ধ্বংস ও নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছি।’
র্যাব প্রধান বলেন, ‘এখন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য- আমরা শুরু করেছি এবং তখনই আমরা বিভিন্ন ধরনের চিৎকার দেখেছি। চিৎকার করে লাভ নেই- আমরা বিজয়ী না হয়ে ফিরব না। এটি ১৬ কোটি মানুষের ডিমান্ড। সরকার, রাষ্ট্রের ও জনগণের ডিমান্ড।”
মাদকের ভয়াবহতা রোধে প্রয়োজনে কক্সবাজারের আটটি উপজেলায় ক্যাম্প স্থাপন করা হবে বলেও জানান তিনি। সূত্র: কালের কণ্ঠ।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস