শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
মালয়েশিয়ায় ১৩২ বাংলাদেশি গ্রেফতার ডুমুরিয়ায় অস্তিত্ব সংকটে ৭ নদী জাপানে শক্তিশালী ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্প রাস্তা পারাপারের সময় দ্রুত গতির বাসচাপায় নারী নিহত রোববার থেকে ফের তিনদিনের হিট অ্যালার্ট জারি হতে পারে দাবদাহে ঢাকায় উৎপাদনশীল খাতে বছরে ক্ষতি ২৭০০ কোটি ডলার ঘুমন্ত হেলপারকে পুড়িয়ে হত্যা: একজনের দায় স্বীকার, দুজনের রিমান্ড ভারতীয় মসলায় ক্যানসারের উপাদান: তথ্য সংগ্রহ করছে যুক্তরাষ্ট্র দেশে আলাদা ফরেনসিক বিশ্ববিদ্যালয় এখন সময়ের দাবি : সিআইডি প্রধান গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছে ২৯ প্রতিষ্ঠান নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক ৩ মাসে গ্রামীণফোনের আয় ৩৯৩২ কোটি টাকা, গ্রাহক বেড়েছে ১০ লাখ পাঁচদিনে সোনার দাম কমলো ৬৪৯৭ টাকা প্রবাসীদের বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান প্রতিমন্ত্রীর ঢাকায় দিনে-দুপুরে জুয়েলারি ব্যবসায়ীর সর্বস্ব লুট বনানীতে যাত্রীবাহী বাসে হঠাৎ আগুন হাসপাতালে ডাক্তার না থাকায় অনেককে শোকজ করা হয়েছে বরিশালে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের প্রভাবিত করতেন তারা

মাথা সুস্থ করেন, নির্বাচনে জিততে হবে কিন্তু এই ভাবে না: ড. কামাল

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮
  • ২৪৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, মাথা ঠিক করেন, মাথা ঠান্ডা করেন, মাথা সুস্থ করেন। নির্বাচনে জিততে হবে কিন্তু এই ভাবে না। সরকার যে কায়দায় এসব কাজ করছে তা সকল স্বৈরাচার সরকারকে ছাড়িয়ে গেছে।

আজ শুক্রবার বিকেলে পুরানা পল্টনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে দলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ঘোষণা অনুসারে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা-৪ থেকে ১৮ আসনে একই সময়ে জনসভা ও গণমিছিল করা হবে এবং ২৭ ডিসেম্বর দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করা হবে।

কামাল হোসেন বলেন, আমার অভিজ্ঞতা ৫০ বছরের। পুলিশ আদেশপ্রাপ্ত হয়ে সারা দেশে যেভাবে অভিযান চালাচ্ছে তা নজিরবিহীন। পরিকল্পিত ভাবে পুলিশকে রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেটা কোনো দিন আমি দেখিনি। ভোটের আরও সাত দিন আছে আমি গঠনমূলক ভাবে বলতে চাই এটা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। না হলে সংবিধান লঙ্ঘন করার গুরুতর অপরাধ হবে।

কামাল হোসেন আরও বলেন, অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে ভোটের সুযোগ দিতে হবে। না হলে নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া যাবে না। তখন মহা সংকট তৈরি হবে। স্বাধীন দেশে জনগণ হলো ক্ষমতার মালিক। সেই জনগণ যদি তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় তাহলে সেটি হবে স্বাধীনতার ওপর আঘাত। এর চেয়ে বড় কোনো অপরাধ হতে পারে না।

সরকারকে উদ্দেশ্য করে কামাল হোসেন বলেন, মাথা ঠিক করেন, মাথা ঠান্ডা করেন, মাথা সুস্থ করেন। নির্বাচনে জিততে হবে কিন্তু এই ভাবে না। সংবিধানকে ধ্বংস করা, মানুষের সঙ্গে ভাঁওতাবাজি করা, মানুষকে তার ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা থেকে বিরত থাকুন। সরকার যে কায়দায় এসব কাজ করছে তা সকল স্বৈরাচার সরকারকে ছাড়িয়ে গেছে। তাই ভালোভাবে বলছি আর সাত দিন আছে। কালকে থেকে আমরা রিপোর্ট নেব আপনারা ঠিকমতো কাজ করছেন কি না।

দেশের মানুষ সচেতন উল্লেখ করে কামাল হোসেন বলেন, আপনারা ঠিকমতো কাজ না করলে মানুষ তা মেনে নেবে না। জনগণকে বঞ্চিত করে যদি নির্বাচনে জয়লাভ করেন তাহলে সেই জয়ের কোনো অর্থ থাকবে না। অর্থহীন বিজয়ের দিকে অগ্রসর না হয়ে নির্বাচন হতে দেন। এটা আমার অনুরোধ, আবেদন, দাবি। না হলে সরকার নজিরবিহীন ভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করার অপরাধে অপরাধী হবে। এটা করবেন না।

কামাল হোসেন বলেন, এ দেশে মানুষ বহু রক্ত দিয়ে অবাধ নির্বাচনের অধিকার আদায় করেছে। অনেক জীবনের মূল্যে তারা এই অধিকার লাভ করেছে। আজ ৪৭ বছর পর তারা এ অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে তা আমরা ভাবতে পারি না। এ রকম একটা সংবাদ সম্মেলনে এই কথাগুলো আমাদের বলতে হবে তা আমার জন্য দুঃখ জনক। এই নির্বাচন তো ৫ বছর আগে করার কথা ছিল। পাঁচ বছর তো কোনো নির্বাচন হয়নি। প্রহসনে পরিণত করবেন না। ন্যূনতম গণতন্ত্রকে শ্রদ্ধা করেন তা হলে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন।

সরকারি কর্মকর্তা ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কামাল হোসেন বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের বলা হোক আপনারা কোনো পক্ষপাত মূলক আচরণ করবেন না। আমি পুলিশের আচরণ দেখে অবাক হয়েছি। আমি যে দুঃখ পেয়েছি তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। ডিকশনারি খুলে দেখুন নিরপেক্ষ মানে কি। আর আপনারা যেটি করছেন তা সেটির উল্টো কি না। এখন ১৬ আনা পরিপন্থী কাজ করছে পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার । তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন দল ও প্রশাসন বাধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এ পর্যন্ত ধানের শিষের ১৬জন প্রার্থীতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভুতুড়ে মামলায় আরও ২ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আফরোজা আব্বাস, রুমানা মাহমুদ টুকু, সাবিনা ইয়াসমিন ছবি, কনক চাঁপাসহ ৫ নারীর ওপর হামলা করা হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের বাধা দিচ্ছে পুলিশ। নেতা-কর্মীদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রত্যাশা, অনতিবিলম্বে অত্যাচারের পথ পরিহার করে পুলিশ প্রশাসন সঠিক পথে ফিরে আসবে এবং নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে সঠিক ও কার্যকর সিদ্ধান্ত নেবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু প্রমুখ।

বাংলা৭১নিউজ/এসই

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com