বাংলা৭১নিউজ, শামসুর রহমান শিশির, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গায় ইরি- বোরো চাষে কোমড় বেঁধে মাঠে নেমেছে কৃষক। সেই সাথে দিন মজুর শ্রমিকরাও বসে না থেকে স্থানীয় কৃষকদের সাথে চারা রোপনে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন। চলতি বছরের তীব্র শীতে ও ঘন কুয়াশায় জনজীবনে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। কিন্তু যারা মাঠে সোনা ফলাবে তাদের যেন বসে থাকার ফুসরত নেই। হাড়কাঁপানো শীত আর ঘন কুয়াশাকে উপেক্ষা করেও ভোর থেকে সন্ধ্যা অবধি মাঠে নেমে চারা রোপণে ব্যাতিব্যস্ত সময় পার করছেন সলঙ্গার কৃষকেরা। শুধু তাই নয়, ইরি-বোরো চারা রোপনে কৃষকের পাশাপাশি আদিবাসী কৃষাণীরাও মাঠে কাজ করছে।
জানা গেছে, সলঙ্গার ৬টি ইউনিয়নের প্রায় এলাকায় ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণের কাজ পুরোদমে চলছে । স্থানীয় কষকদের ভাষ্যমতে,”ইরি-বোরো মৌসুমে সার কীটনাশক ন্যায্যমূল্য ও সেঁচ কাজের জন্য সঠিক ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলে ইরি-বোরোতে বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে । বিদ্যুতের ভেলকিবাজী, ঘনঢ়ন লোডশেডিং আর সারের মুল্য যদি বৃদ্ধি না হয় তাহলে আশানুরূপ উৎপাদন করে ব্যাপক লাভবান হওয়া সম্ভব। হরিণচড়া গ্রামের হযরত আলী, কার্তিক, মজনু, আকরাম জানায়, “শীতের ভয়ে বসে থাকলে চলবে কি ? আমরা এ সময়ে বসে থাকলে আমাদের পরিবার ও দেশের মানুষের পেটে ভাত জুটবে কিভাবে! মাঠের পর মাঠ ফসল না লাগালে মানুষ কি খাবে? প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে ক’দিন পরেই মাঠের পর মাঠ হয়ে যাবে সবুজ ধান ক্ষেত।
তারপরেই সোনার ফসলে শুরু হবে হাসির ঝিলিক।” সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার জানান, “উপজেলা কৃষি অফিসার খিজির হোসেনের দিকনির্দেশনায় কৃষকদের পাশে থেকে ল্যাক পদ্ধুতি, লাইনে চারা রোপন, সুষম ও সার ব্যবহার, সঠিক বয়সে চারা রোপন, ভিজানো শুকানো পদ্ধতি, মান সম্মত বীজ উৎপাদন, পরিবেশ বান্ধব ফসল উৎপাদন সহ আধুনিক পদ্ধুতিতে চাষাবাদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে । আবহাওয়া অনুকলে থাকলে আশারানুরূপ ধানের ফলন সম্ভব বলে মনে করি।” রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হক মন্ডল জানান, “চলতি মৌসুমে এ উপজেলার ৯ ইউনিয়নের ১৯ হাজার ৪৪ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।”
বাংলা৭১নিউজ/জেএস