বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:২১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
যাত্রাবাড়ীতে বিপন্ন প্রজাতির হনুমান পাচারের সময় গ্রেপ্তার ২ ব্যারিস্টার আরমানের স্ত্রীকে হেনস্তা করিয়েছিলেন টিউলিপ: রিপোর্ট কামরুল-পলকসহ ৫ জন নতুন মামলায় গ্রেফতার বেনজীরের স্ত্রী ও মেয়ের আয়কর নথি জব্দের আদেশ ভৈরব থানার লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার অবশেষে মায়ের বুকে ছেলে পোষ্য কোটা বাতিলসহ ৯ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের অনশন বাঘাবাড়ী নৌবন্দর নাব্য সংকট, ভিড়তে পারছে না জাহাজ নিয়োগ দুর্নীতি : ওয়াসার তাকসিমসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা নির্বাচন সংস্কারে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের ১১ প্রস্তাব লন্ডনে পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া ট্রাম্পের মানচিত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অঙ্গরাজ্য কানাডা ২০২৪ সালে সড়কে নিহত ৭ হাজারের বেশি : রোড সেফটি ফাউন্ডেশন সিরিয়ার কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অভিযানের হুমকি তুরস্কের টিসিবির নতুন চেয়ারম্যান ব্রি. জেনারেল ফয়সাল আজাদ একনেকে ৪ হাজার কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন ঢাকায় ছিনতাই বেড়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করলেন ডিএমপি কমিশনার বিডিআরের নিরপরাধ সদস্যদের মুক্তির দাবিতে পদযাত্রায় পুলিশের বাধা রায়েরবাজারে পরিত্যক্ত অবস্থায় ২৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার ফেলানীর পরিবারের দায়িত্ব নিলেন আসিফ মাহমুদ

মাটির ঘরে লেখাপড়া করতে চায় না শিক্ষার্থীরা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ১৭ জুলাই, ২০১৮
  • ২২৯ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, মোঃ আবু মুসা, জয়পুরহাট প্রতিনিধি: শ্রেণিকক্ষ স্বল্পতায় মাটির ঝুঁকিপূর্ণ ঘরে লেখাপড়া করছেন জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের দুলালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এই বিদ্যালয়ে চার কক্ষের একটি আধাপাকা ভবন রয়েছে। পাশেই ভাঙাচোরা তিন কক্ষের একটি মাটির ঘর। আধাপাকা ঘরের চার কক্ষের একটিতে অফিস। অন্য তিনটির একটিতে প্রাক-প্রাথমিকের ক্লাস নেওয়া হয়। বৃষ্টি হলেই সেই আধাপাকা ঘরের টিনের চালা দিয়ে পানি পড়ে। শ্রেণিকক্ষের সংকটের কারণে মাটির ঝুঁকিপূর্ণ ঘরেই চলছে পড়াশুনা। মাটির ঘরটি যেকোনো সময় ভেঙ্গে শিক্ষক শিক্ষার্থী হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৩৭ বছর আগে ১৮৮০ সালে দুলালী গ্রামে এই প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। পরে ১৯৮৮ সালে সরকারি উদ্যোগে মাটির ঘরের এক পাশে চার কক্ষের একটি আধাপাকা ঘর নির্মাণ করা হয়। কিন্তু আধাপাকা ঘরটিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শ্রেণিকক্ষ না থাকায় শিক্ষার্থীদের মাটির ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটিতে পড়াশুনা করানো হচ্ছে। অথচ দীর্ঘদিনেও বিদ্যালয়টিতে নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়নি। বিদ্যালয়ের যে আধাপাকা ঘরটি রয়েছে তার টিনের চালায় মরিচা ধরে অসংখ্য ছিদ্র তৈরি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই টিনের চালা দিয়ে অফিস ও শ্রেণিকক্ষে পানি পড়ে বই-খাতা ভিজে যায়। এ কারণে বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে চায় না।

দুলালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহেনা বেগম বলেন, ‘আধাপাকা ঘরটিতে চারটি কক্ষ রয়েছে। এরমধ্যে একটি ছোট অফিস কক্ষ, একটি প্রাক-প্রাথমিকের শ্রেণিকক্ষ। বাকি দুটি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কক্ষ। মাটির ঘরটিতে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান করা হয়। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে আধাপাকা ঘরের টিনের চালা দিয়ে পানি পড়ায় অফিস কক্ষে রাখা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ভিজে যায়। ফলে অফিস কক্ষের জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে হয়। এছাড়াও মাটির ঘরগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এলাকার লোকজন তাদের ছেলেমেয়েদের এই স্কুলে ভর্তি করাতে চায় না।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাদিরুজ্জামান বলেন, ‘গোপীনাথপুর ইউনিয়নের দুলালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন করা দরকার। বিদ্যালয়টির নতুন ভবনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এখনও কোন বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com