দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। এই সৈকতে বেড়াতে আসা মানেই নোনা জলে গা ভাসিয়ে গোসলে মেতে ওঠা, একই জায়গায় দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা। এবার বাড়তি বিনোদন দিতে স্পিডবোটে সমুদ্রের মাঝে নিয়ে দেখানো হচ্ছে গভীর সমুদ্রের রূপ ও জেলেদের কর্মযজ্ঞ।
শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) সৈকত ঘুরে দেখা যায়, সৈকতের তীরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে স্পিডবোটগুলো। জনপ্রতি একশো টাকার টিকিট করে পর্যটকরা সমুদ্রের গভীরে যাচ্ছেন গভীর সমুদ্রকে আলিঙ্গন করতে। এতে উপভোগ করতে পারছেন জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য।
সিলেট থেকে বেড়াতে আসা দেবাশীষ নামের একজন পর্যটক জানান, কুয়াকাটায় ঘুরতে এসে দেখলাম স্পিডবোটে গভীর সমুদ্রে যাওয়া যায় এবং সেখানে জেলেরা যে জাল টানছে, মাছ ধরছে সবকিছুই নিজের চোখে দেখলাম বেশ উপভোগ করলাম।
জয়া নামের আরেক পর্যটক জানান, সমুদ্রের তীরে বসে গভীরের পরিবেশ অনুভব করা যায় না। এখানে এসে চারদিকে সমুদ্র, জেলেরা মাছ ধরছে দেখে অনেক পর্যটক ছবি তুলছে, গান করছে বেশ আনন্দদায়ক পরিবেশটা।
স্পিডবোড মালিক বশির বলেন, আমরা পর্যটকদেরকে একটু বেশি বিনোদন দেয়ার জন্য তীর থেকে চার-পাঁচ কিলোমিটার ভেতরে নিয়ে ঘুরিয়ে নিয়ে আসি। এতে তারা বেশ আনন্দ পান।
স্পিডবোট মালিক সমিতির সভাপতি মো. বেল্লাল খলিফা জানান, স্পিডবোটে পর্যটকদের বিভিন্ন স্পট ঘুরে দেখানো একটি পর্যটন সেবা। আমাদের ২০টির বেশি বোট এখানে রয়েছে। আমরা এটার মাধ্যমে একদিকে সেবা ও আনন্দ দিচ্ছি অন্যদিকে রুজিরোজগারের ব্যবস্থাও করছি। বোটগুলোতে সবসময় লাইফ জ্যাকেটসহ নিরাপত্তার সকল সরঞ্জামাদি রাখা হয় যাতে যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা থেকে নিরাপদে থাকা যায়।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জানান, কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা বিশেষ করে নদীপথে যারা ভ্রমণ করে তাদের ব্যাপারে আমরা সবসময় তদারকি করছি যাতে লাইফ জ্যাকেট ও নিরাপদ রুটে চলাচল করে। ট্যুরিস্ট পুলিশ পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে সবসময় প্রস্তুত রয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/পিকে