আচার খেতে কে না পছন্দ করে! বিশেষ করে খিচুরির সঙ্গে টক-ঝাল-মিষ্টি সব ধরনের আচারই খেতে সুস্বাদু লাগে। অনেকেই টক আচার খেতে পছন্দ করেন, অনেক আবার ঝাল এমনকি মিষ্টি আচারের ভক্তও আছেন ছোট-বড় অনেকেই।
তবে কখনও কি মাংসের আচার খেয়েছেন? খুবই সুস্বাদু এই আচার মুহূর্তেই আপনার জিভে জল এনে দেবে। কোরবানি ঈদের পর এখন সবার ঘরেই কমবেশি মাংস আছে। চাইলে এ সময় মাংসের টক-ঝাল-মিষ্টি আচার বানিয়ে রেখে দিতে পারেন বছরজুড়ে।
খুব সহজেই তৈরি করে নিতে পারবেন মজাদার এই আচার। এজন্য ব্যবহার করতে পারেন গরু, খাসি বা মুরগির মাংস। নিচে দেওয়া সহজ রেসিপি অনুসরণ করে আপনি পছন্দসই আচার তৈরি করে নিতে পারবেন ঝামেলা ছাড়াই। জেনে নিন রেসিপি-
উপকরণ
১. হাড় ছাড়া মাংস ১ কেজি (গরু, খাসি বা মুরগি)
২. আদা বাটা ২৫ গ্রাম
৩. রসুন বাটা ২৫ গ্রাম
৪. সরিষার তেল ১ লিটার
৫. শুকনো মরিচের গুঁড়ো ১০০ গ্রাম
৬. লবণ ১ টেবিল চামচ
৭. ভেজে নেওয়া মেথি গুঁড়ো ১ চা চামচ
৮. লেবু ১০টি
৯. রসুনের কোয়া থেঁতলে নেওয়া ১০টি ও
১০. চিনি স্বাদমতো
পদ্ধতি
প্রথমে মাংস ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে নিন। দেখবেন যেন একটুও পানি না থাকে। এবার এক ইঞ্চি কিউব করে মাংস কেটে নিন। এরপর মাংসে আদা-রসুন বাটা ও লবণ দিয়ে মাখিয়ে একটা চিনা মাটির পাত্রে ঢেকে রাখুন আধা ঘণ্টা।
এরপর মাংস ভালো করে ভেজে নিতে হবে। বেশি কড়া করে ভাজবেন না। ভাজা হয়ে গেলে ঠান্ডা করে নিতে হবে। এবার অন্য একটি পাত্রে লেবু থেকে রস চিপে বের করে রাখুন।
আচার তৈরি করার অন্তত তিন ঘণ্টা আগে লেবুর রস বের করে রাখবেন। লেবুর রস রোদে রেখে গরম করবেন, যাতে এর মধ্যে অতিরিক্ত পানি চলে যায়। তবে চুলায় বসাবেন না।
এবার লেবুর রসের মধ্যে রসুন থেঁতলে দিন। সেইসঙ্গে মেথি, মরিচের গুঁড়ো ও চিনি মিশিয়ে নিন। যদি আচার মিষ্টি করতে না চান; তাহলে চিনি এড়িয়ে যাবেন। এরপর দিয়ে দিন ভেজে নেওয়া মাংস। তবে মাংসের গা থেকে তেল সবটুকু ছেঁকে তবেই লেবুর রসে দিবেন।
এবার মাংস ভাজা তেলটুকু আচারের মিশিয়ে দিতে পারেন। সব কিছু ভালো করে মিশে গেলে কাচের একটি পাত্রে ঢেলে রাখুন। দেখবেন যে বাড়তি তেল মাংসের উপরে দিয়েছেন সেটা যেন উপরে ভেসে থাকে। মুখবন্ধ কাচের পাত্রে দীর্ঘদিন মাংসের আচার রেখে খেতে পারবেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ