রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:০৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
শেয়ারবাজারে সপ্তাহজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ইসলামী ব্যাংক ঢাকার খাল দিয়ে ব্লু নেটওয়ার্ক তৈরির পরিকল্পনা করছে সরকার জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য রাষ্ট্রকে অনন্য উচ্চতা দিয়েছে: আ স ম রব স্বৈরাচারের সহযোগী দলগুলোকে ১০ বছর রাজনীতি নিষিদ্ধ করা উচিৎ জনগণের আস্থা ফেরানোর চেষ্টা করছি: ডিএমপি কমিশনার ইউক্রেনে মেডিকেল সেন্টারে রাশিয়ার হামলা, নিহত ৬ পাবনায় পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু হিজবুল্লাহ প্রধান নাসরাল্লাহকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন দ্বিতীয় দিন একটি বলও মাঠে গড়ালো না প্রশাসনে আ. লীগের দোসরদের রেখে রাষ্ট্র সংস্কার সম্ভব নয় : রিজভী ঢাকায় একদিনে ট্রাফিক আইনে ৬৩৩ মামলা, জরিমানা ২৩ লাখ বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়া দুই ভারতীয় আটক পুলিশে ৩৬০০ কনস্টেবল নিয়োগ, আবেদন শুরু ১ অক্টোবর বিদেশি বিনিয়োগ টানতে উন্নত ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরির পরামর্শ আত্মসমর্পণ করবেন মাহমুদুর রহমান, যেতে হতে পারে কারাগারে ‘অজনা কারণে’ পেশাগত সনদ পাননি ৩ হাজারেরও বেশি নার্স চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো ভারত দেশের উত্তরাঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হতে পারে আজও আমার কথা বলে চাঁদা-সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করলে পুলিশে দিন

মহানবী (সা.) যেসব শব্দ ও বাক্য অপছন্দ করতেন

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে

মহানবী (সা.) যেসব শব্দ ও বাক্য পছন্দ করতেন না তার অন্যতম হচ্ছে, ‘খাবুসাত নাফসি’ অর্থাৎ আমার চরিত্র নোংরা হয়ে গেছে। এর পরিবর্তে তিনি ‘লাকিসাত নাফসি’ বলার উপদেশ দিয়েছেন। উভয় বাক্যের অর্থ কাছাকাছি। আর তা হচ্ছে অভ্যাস ও চরিত্র নষ্ট হয়ে গেছে।

নবী (সা.) ‘খাবুসা’ শব্দটি প্রয়োগ করা অপছন্দ করেছেন। কারণ তা কদর্যতা ও নোংরামির মাত্রাতিরিক্ত অর্থ প্রকাশ করে।   

মহানবী (সা.) আঙুর ফলকে ‘কারাম’ বলতেও নিষেধ করেছেন। কারণ কারাম হচ্ছে মুমিনের গুণ।

মহানবী (সা.) কাউকে এমন কথা বলতে নিষেধ করেছেন যে ‘মানুষ ধ্বংস হয়ে গেছে’। নবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি এরূপ বলল, মূলত সে যেন লোকদের ধ্বংস করে দিল। এমনি ‘লোকেরা নষ্ট হয়ে গেছে, জামানা খারাপ হয়ে গেছে’ বলাও অপছন্দনীয়।

রাসুল (সা.) ‘তারকার প্রভাবে বৃষ্টিপ্রাপ্ত হয়েছে’ বলতেও নিষেধ করেছেন।

মহানবী (সা.) ‘আল্লাহ যা চান’ এবং ‘তুমি যা চাও’ বলতেও নিষেধ করেছেন।

কেননা এতে (এবং) শব্দের মাধ্যমে বান্দা ও আল্লাহর ইচ্ছাকে সমান করে দেওয়া হয়। তাই (এবং) শব্দ পরিহার করে অতঃপর শব্দটি প্রয়োগ করতে হবে। অর্থাৎ এভাবে বলতে হবে যে আল্লাহ যা চান অতঃপর সে যা চায়।

রাসুল (সা.) আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে শপথ করতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে শপথ করল সে শিরক করল। ’ (মুসনাদে আহমাদ)

এমনি শপথের মধ্যে এ কথাও বলা নিষিদ্ধ যে সে যদি এমন করে তাহলে ইহুদি হয়ে যাবে।

মহানবী (সা.) রাজা-বাদশাহকে মালিকুল মুলক তথা শাহানশাহ বা রাজাধিরাজ বলতে নিষেধ করেছেন। চাকর ও খাদেমকে আমার বান্দা বা আমার বান্দি বলাও নিষিদ্ধ। বাতাসকে গালি দেওয়া, জ্বরকে দোষারোপ করা, মোরগকে গালি দেওয়ার ব্যাপারেও নিষিদ্ধতা বর্ণিত হয়েছে।

আইয়্যামে জাহেলিয়াত তথা অন্ধকার যুগের সব আহ্বান ও স্লোগানকে তিনি বর্জন করার আদেশ দিয়েছেন। মুসলিমদের গোত্র, বংশ ও জাতীয়তাবাদের দিকে আহ্বান করতে এবং এর ভিত্তিতে বিভক্ত হতে নিষেধ করেছেন।

তিনি বেশির ভাগ মুসলমানের কাছে পরিচিত ‘এশা’ সালাতের নাম বর্জন করে ‘আতামাহ’ রাখাকে অপছন্দ করেছেন। গ্রাম্য লোকেরা সে সময় এশার সালাতকে আতামার সালাত বলত। কিন্তু বেশির ভাগ মুসলমান তখন এশার সলাত বলত। তাই রাসুল (সা.) গ্রাম্য লোকদের অভ্যাস মোতাবেক এশার সালাতের নাম বর্জন করে ‘আতামার সালাত’ বলা অপছন্দ করেছেন।

এমনি কোনো মুসলমানকে গালি দেওয়া, তিনজন একসঙ্গে থাকলে একজনকে বাদ দিয়ে দুজন মিলে গোপনে আলাপ করা এবং নারীকে তার স্বামীর কাছে অন্য নারীর সৌন্দর্য বর্ণনা করতে নিষেধ করেছেন।

মহানবী (সা.) ‘হে আল্লাহ, তুমি ইচ্ছা করলে আমাকে ক্ষমা করো’—এভাবে দোয়া করতে নিষেধ করেছেন এবং আল্লাহর কাছে কিছু চাইলে দৃঢ়তার সঙ্গে চাওয়ার আদেশ করেছেন। তিনি বেশি বেশি শপথ করা, আল্লাহর চেহারার উসিলায় কিছু চাওয়া থেকে নিষেধ করেছেন।

রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনাকে ইয়াসরিক বলতে নিষেধ করেছেন। রাসুল (সা.) বিনা প্রয়োজনে কোনো লোককে এ কথা জিজ্ঞেস করতে নিষেধ করেছেন যে কেন সে তাঁর স্ত্রীকে প্রহার করেছে। তবে প্রয়োজনবশত জিজ্ঞেস করা যেতে পারে।

রাসুল (সা.) ‘আমি পূর্ণ রমজান মাস সিয়াম রেখেছি এবং পূর্ণরাত তাহাজ্জুদ সালাত পড়েছি’—এমন কথা বলতে নিষেধ করেছেন।

যেসব বিষয় ইঙ্গিতের মাধ্যমে বলা উচিত, তা সুস্পষ্ট করে এবং খোলাখুলিভাবে বলা নবীজি (সা.)-এর অপছন্দনীয় কথা-বার্তার অন্তর্ভুক্ত।

রাসুল (সা.) এমন কথা বলতে নিষেধ করেছেন যে ‘ওই আল্লাহর শপথ! যার সিলমোহর আমার মুখের ওপর আছে। ’ কেননা কাফিরের মুখের ওপরও আছে আল্লাহর সিলমোহর।

জোরপূর্বক আদায়কৃত সম্পদকে হক বা অধিকার বলা অন্যায়। আল্লাহর রাস্তায় ও আল্লাহর আনুগত্যে খরচ করার পর এ কথা বলা নিষিদ্ধ যে আমি এত এত সম্পদ নষ্ট করেছি, দুনিয়াতে আমি অনেক সম্পদ খরচ করেছি ইত্যাদি।

ইজতেহাদি মাসআলায় (গবেষণালব্ধ ইসলামী বিধানের ক্ষেত্রে) মুফতির জন্য এ কথা বলা নিষিদ্ধ যে আল্লাহ এটাকে হালাল করেছেন অথবা আল্লাহ এটাকে হারাম করেছেন।

কোরআন ও সুন্নাহর কোনো দলিলকে মাজাজ (রূপকার্থবোধক) বলা ঠিক নয়। এভাবে দার্শনিকদের সন্দেহযুক্ত কথাকে অকাট্য যুক্তি বলা অযৌক্তিক।

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যেসব কাজ (সহবাস বা অন্য বিষয়) হয় তা মানুষের মধ্যে বলে বেড়ানো নিষিদ্ধ। যেমনটি করে থাকে নির্বোধ ও নিম্ন শ্রেণির লোকেরা।

‘আমি, আমার, আমার কাছে’ ইত্যাদি শব্দ উচ্চারণ করা থেকে সতর্ক থাকা উচিত। কেননা এই তিনটি শব্দ বলার কারণেই ইবলিস, ফেরাউন ও কারুন ধ্বংস হয়েছে। ইবলিস বলেছিল, ‘আমি তার (আদম) থেকে শ্রেষ্ঠ। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ আগুন থেকে। আর তাঁকে সৃষ্টি করেছ মাটি থেকে। ’ (সুরা আরাফ, আয়াত : : ১২)

ফেরাউন বলেছিল, ‘মিসরের রাজত্ব কি একমাত্র আমার নয়?’ (সুরা জুখরুফ, আয়াত : ৫১)

কারুন বলেছিল, ‘এই ধন আমার নিজস্ব জ্ঞান-গরিমা দ্বারা প্রাপ্ত হয়েছি। ’ (সুরা কাসাস, আয়াত : ৭৮)

জাদুল মাআদ অবলম্বনে

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com