বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: অন্যান্য সিটি করপোরেশনের মতো গাজীপুর ও রংপুরের জনগণও পেলো মহানগর পুলিশ। মেট্রোপলিটন এলাকার জনগণকে অধিকতর আইনি ও পুলিশি সেবা দিতে মেট্রোপলিটন পুলিশের কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
রবিবার সকাল ১১টার দিকে এই দুই মহানগর পুলিশের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।
বর্তমান সরকারের মেয়াদে ২০১০ সালের ২৫ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদের সভায় রংপুরকে বিভাগ করার বিষয়টি অনুমোদিত হয়। একই বছর ৯ মার্চ এই বিভাগের বাস্তবায়ন হয় প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে।
রংপুর বিভাগ বাস্তবায়নের পর রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) কার্যক্রম শুরুর কথা ছিল। পরে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ আইনের খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন দেন। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদে রংপুর মহানগর পুলিশ বিল-২০১৮ পাস হয়।
রংপুর সদর, সিটি করপোরেশন, কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার ২৪০ বর্গকিলোমিটার আয়তন নিয়ে একটি পুলিশ লাইন্সসহ ছয়টি থানা থাকবে রংপুর সিটি করপোরেশনের আওতায়।
২০১৩ সালের ১৬ জানুয়ারি গাজীপুর পৌরসভাকে ১১তম সিটি করপোরেশন হিসেবে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিটি করপোরেশনে মহানগর পুলিশ গঠনে আইনের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।
এছাড়া গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতায় থাকবে আটটি থানা। জিএমপির নতুন থানা ও এর অধিভুক্ত এলাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আওতাধীন আটটি নতুন থানা হলো সদর (বর্তমান জয়দেবপুর থানা), বাসন, কোনাবাড়ি, কাশিমপুর, গাছা, পূবাইল, টঙ্গী পূর্ব ও টঙ্গী পশ্চিম থানা।
একইদিন উদ্বোধন করা হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে শেখ হাসিনা তিতাস সেতুর ওয়াই আকৃতির সেতু। এর ফলে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী কুমিল্লা জেলার হোমনা ও মুরাদনগরের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে। সূত্র: ঢাকাটাইমস।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস