শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চাচাকে বাবা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিসিএস ক্যাডার! হাইকোর্টের নতুন রেজিস্ট্রার হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী লামায় অগ্নিসংযোগ: ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে উপদেষ্টা-প্রশাসন নসরুল হামিদের ৩৬ কোটি টাকার সম্পদ, অস্বাভাবিক লেনদেন ৩১৮১ কোটি তিন উপদেষ্টাকে বিপ্লবী হতে বললেন সারজিস আলম জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম ফায়ার ফাইটার নিহতের ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা কোরিয়া থেকে ৬৯৩ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার সাভারে বন্ধ টিএমআর কারখানা চালুর নির্দেশনা উপদেষ্টার দুদকের সাবেক কমিশনার জহুরুল হকের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু কনস্টাসকে ধাক্কা দেওয়ায় কোহলিকে আইসিসির শাস্তি শেখ হাসিনা-শেখ রেহানার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার দাবি ফখরুলের ১১ বছর পর দেশে ফিরছেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক যারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করেছেন, তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত প্রাণ এএমসিএলের ৩২ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন সেতু মন্ত্রণালয় থেকে বাদ যাচ্ছে ১১১৮৬ কোটি টাকার অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বিমানের সিটের নিচে মিলল ২০ সোনার বার, যাত্রী আটক ‘পিলখানা হত্যায় নিরপেক্ষ থেকে ষড়যন্ত্র চিহ্নিত করা হবে’ চোখের জলে এক বীরকে বিদায় দিল ফায়ার সার্ভিস

মন্ত্রিসভায় বিদ্যুৎ আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন, নাশকতায় ১০ বছর জেল

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় সোমবার, ৮ আগস্ট, ২০১৬
  • ১৬৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: বিদ্যুৎখাতে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতা ঠেকাতে সরকার নতুন বিদ্যুৎ আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। এই আইনে বিদ্যুৎ স্থাপনায় হামলা চালালে সর্বোচ্চ ১০ বছর জেল এবং ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান থাকছে। আইনটি বেসরকারি খাতকে উৎসাহ এবং বিদ্যুৎখাতে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই আইনের খসড়া (বিদ্যুৎ আইন ২০১৬) নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ১০৫ বছর পর এটিই হবে বাংলাদেশের প্রথম বিদ্যুৎ আইন। এতদিন ১৯১০ সালের ইলেকট্রিসিটি অ্যাক্ট অনুযায়ী দেশের বিদ্যুৎ খাত পরিচালিত হয়ে আসছিল।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্যুৎ স্থাপনায় অনিষ্ট সাধনের জন্য কেউ বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র, বিদ্যুৎ লাইন, খুঁটি বা অন্য যন্ত্রপাতি নাশকতার মাধ্যমে ভেঙ্গে ফেললে বা ধ্বংস করলে অনধিক সাত থেকে দশ বছরের কারাদ- এবং ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত অর্থদ-ে দন্ডিত হবেন। এর আগে বিদ্যুৎকেন্দ্রে নাশকতার ঘটনাগুলো এ আইনের আওতায় আসবে কি না সে বিষয়ে আইনে কিছু বলা হয়নি জানিয়ে শফিউল বলেন, আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদনের সময় বিষয়টি আলোচনায় আসতে পারে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ইংরেজিতে করা আইনগুলোকে বাংলায় করার বিধান রয়েছে। সেই আলোকে ১৯১০ সালের বিদ্যুৎ আইনকে হালনাগাদ করে নতুন এ আইন করা হচ্ছে। ১৯১০ সালে বিদ্যুৎ যে অবস্থায় ছিল ২০১৬ সালে এসে সেই অবস্থায় নেই। মূল আইনকে ভিত্তি ধরেই এ আইন করা হয়েছে। আগের আইনের কলেবর বাড়ানো হয়েছে। কিছু বিষয় যুক্ত করা হয়েছে, কিছু বিষয় বাদও দেয়া হয়েছে।

নতুন আইনে প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শকের পদ সৃষ্টির প্রস্তাব করা হয়েছে জানিয়ে শফিউল বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া-নেয়ার বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত করতে এই পদ সৃষ্টি করা হবে। সারা দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সমন্বিত আকারে পরিচালনায় সরকার ইনডিপেনডেন্ট সিস্টেম অপারেটর (আইএসও) প্রতিষ্ঠা করবে। সারা দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা এর আওতায় আসবে। এ অপারেটর বিদ্যুৎ সঞ্চালন প্রবাহ তদারকি, সিডিউলিং ও লোড সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ করবে।

বিদ্যুৎ চুরি চিহ্নিত করা, বিদ্যুৎ চুরি প্রতিরোধ ও অপচয় বন্ধে বিভিন্ন এজেন্সির সমন্বয়ে সরকার বিদ্যুৎ গোয়েন্দা সেলও গঠন করতে পারবে এ আইন পাস হলে। খসড়ায় বলা হয়েছে, সরকারের অনুমোদন ছাড়া কোনো ব্যক্তি বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভূমির সঙ্গে সংযুক্ত (আর্থিং) করতে পারবে না।

অবৈধভাবে কেউ বিদ্যুৎ ব্যবহার করলে তিনি বিদ্যুৎ চুরি করেছেন বলে গণ্য হবে জানিয়ে শফিউল বলেন, এজন্য অনধিক তিন বছর কারাদন্ড অথবা চুরি করা বিদ্যুতের মূল্যের দ্বিগুণ অথবা ৫০ হাজার টাকা (যা পরিমাণে বেশি হয়) জরিমানা করা হবে। আগের আইনে এ অপরাধের সাজা ছিল এক থেকে তিন বছরের জেল এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা।

শিল্প বা বাণিজ্যিক কাজে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের শাস্তি দ্বিগুণ করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নতুন আইনে এই অপরাধের জন্য পাঁচ বছরের কারাদ- বা চুরি করা বিদ্যুতের মূল্যের দ্বিগুণ বা এক লাখ টাকা জরিমানা করা যাবে। পুরনো আইনে বিদ্যুৎ লাইন চুরির জন্য পাঁচ বছরের জেল ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান ছিল। তা বাড়িয়ে দুই থেকে পাঁচ বছরের কারাদন্ড বা ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা জরিমানার প্রস্তাব রাখা হয়েছে খসড়ায়।

বিদ্যুতের অনুচিত ব্যবহারের জন্য অনধিক তিন বছর জেল অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দ-ের বিধান রয়েছে নতুন আইনে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নিজের বৈধ মিটার থেকে লিখিত অনুমোদন ছাড়া কাউকে বিদ্যুৎ সংযোগ দিলে নতুন আইনে তাকে অনধিক দুই বছর সাজা বা ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদ- বা উভয় দন্ড দেয়া যাবে।

যিনি ওই অবৈধ সংযোগ নেবেন, তিনিও ওই শাস্তির আওতায় পড়বেন। এ অপরাধের জন্য আগের আইনে তিন বছরের জেল এবং ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যেত বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান।

জোবাইদা রাজনীতিতে আসলে ভালো, বললেন প্রধানমন্ত্রী

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান রাজনীতিতে আসলে ভালো হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে জোবাইদা রহমানের আসার সম্ভাবনার কথা শুনে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি রাজনীতিতে এলে ভালো করবেন বলেও প্রধানমন্ত্রী এ সময় মন্তব্য করেন।

বৈঠক শেষে একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।

সূত্র জানায়, মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় জোবাইদা রহমানের বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে আসার সম্ভাবনার বিষয়টি ওঠে। বৈঠকে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান প্রসঙ্গটি তোলেন। তারা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ’র বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুটি পদ এখনও শূন্য রয়েছে। এ পদ দুটি নাকি খালেদা জিয়া তার দুই পুত্রবধূর জন্য রেখেছেন।

এসময় অন্য কয়েকজন মন্ত্রীও এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে (জোবাইদা) শিক্ষিত এবং ভদ্র পরিবারের মেয়ে। সে রাজনীতিতে এলে ভালোই হবে। ভাল করবে। জোবাইদা রহমান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর আত্মীয় বলেও আলোচনায় উঠে আসে। তখন খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, জোবাইদা রহমান তার চাচার শালিকার মেয়ে হিসেবে সম্পর্কে খালাতো বোন হন।

বৈঠক সূত্র আরো জানায়, এ সময় শাজাহান খান বিএনপির সদ্য ঘোষিত কেন্দ্রীয় কমিটির সমালোচনা করেন। এই কমিটিতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার আসামি আব্দুস সালাম পিন্টু এবং যুদ্ধাপরাধীদের সন্তান নেয়া হয়েছে। তিনি এতে বিস্ময় প্রকাশ করেন।

এদিকে বৈঠকে অনুমোদিত বিদ্যুৎ আইনের ৬৯ ধারায় ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার না দেয়ার সমালোচনা করা হয়। তখন প্রধানমন্ত্রী এই ধারাটি বাতিলের নির্দেশ দেন বলে জানা গেছে। সূত্র জানায়, বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু প্রসঙ্গটি তোলেন।

এরপর এটি নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ও নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এ বিষয়ে কথা বলেন। তারা বলেন, বিদ্যুৎ আইনের ৬৯ ধারা বাতিল করতে হবে। এই ধারা ট্রেড ইউনিয়ন না করার কথা বলা হয়েছে। এর ফলে বহির্বিশ্বে ভুল তথ্য যাবে। এমনিতেই ইপিজেড নিয়ে বিভিন্ন কথা শুনতে হয়। এই ধারাটি বাতিল করতে হবে।

এ সময় মন্ত্রীদের কথা শোনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুৎ আইনের এই ৬৯ ধারাটি বাদ দেয়ার নির্দেশ দেন। এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেন। মন্ত্রিসভার অনির্ধারিত আলোচনায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় উচ্ছেদ অভিযানের বিষয়ে গণপূর্তমন্ত্রীকে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বড় সড়কের পাশে বাণিজ্যিক সুবিধা থাকতে পারে। কিন্তু, কোনো আবাসিক এলাকায় যেন হোটেল রেস্টুরেন্ট না থাকে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com