শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৪:২৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
দ্বাদশ সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীদের জন্য ৯৪০ প্রশ্ন ভরিতে আরও ১৮৭৮ টাকা কমলো সোনার দাম সব প্রার্থী আমাদের কাছে সমান: ইসি আলমগীর টোল আদায়ে দুর্নীতি, দুদকের হস্তক্ষেপে ইজারা বাতিল রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশের পাশে আছে ইউরোপ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই আ.লীগ ক্ষমতায় এসেছে : কাদের এপ্রিলে নির্যাতনের শিকার ১৯৩ নারী-শিশুকন্যা ৯ মে পর্যন্ত চলবে সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ মৃত ব্যক্তিদের জাল সনদ: মিল্টন সমাদ্দারের ৩ দিনের রিমান্ড গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয়, উন্মুক্ত : তথ্য প্রতিমন্ত্রী যাত্রীবাহী বাস থেকে ৭টি স্বর্ণের বারসহ চোরকারবারি আটক আমন মৌসুম থেকেই চাল ছাঁটাই ও পলিশ বন্ধ করা হবে : খাদ্যমন্ত্রী টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ১০ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণের অভিযোগ আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে শনিবার থেকে খোলা স্কুল-কলেজ: শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইসলামী ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১২ কেজি এলপিজির দাম কমলো ৪৯ টাকা শেয়ার ছাড়বে রূপালী ব্যাংক নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

মন্ত্রিসভায় ঠাঁই না পেয়ে মহাজোটে হতাশা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১৯
  • ১০৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা:একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে নবগঠিত ৪৭ সদস্যের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়নি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ও ১৪ দলের শরিকদের। এ নিয়ে এরই মধ্যে দুই জোটের অনেকেই উষ্মা প্রকাশ করেছেন। মন্ত্রিসভায় কেন জোটের শরিকদের জায়গা হলো না- এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন জোট নেতাদের অনেকে।

তবে মন্ত্রী হতে না পারার হতাশার মাঝেও আশা ছাড়েননি তাদের অনেকে। এ বিষয়ে এখনো আলোচনার সুযোগ আছে বলে জানিয়েছেন তারা।

৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পাওয়ার পরে সোমবার বঙ্গভবনে শপথ নেন নবগঠিত মন্ত্রিসভার সদস্যরা। মহাজোট ও ১৪ দলের শরিকদের মধ্যে গত সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন (ওয়ার্কার্স পার্টি), তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু (জাসদ) ও পানিসম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু (জেপি) বাদ পড়েছেন এবারের মন্ত্রিসভা থেকে। পাশাপাশি মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির মশিউর রহমান রাঙ্গা, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মুজিবুল হক চুন্নুর নামও নেই ৪৭ জন মন্ত্রীর তালিকায়। বিগত সরকারের এ মন্ত্রীদের কাউকেই সোমবার মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি।

সংসদে কার্যকর বিরোধীদল হতে মন্ত্রিসভায় জাতীয় পার্টির কেউ থাকবেন না-এরশাদের এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে আগেই বোঝা গিয়েছিল, মন্ত্রিসভায় এবার দলটির কাউকে দেখা যাবে না। যে কারণে বঙ্গভবন থেকে ফোন পাওয়ার প্রত্যাশা করেননি জাপার কেউ। মন্ত্রী হওয়ার বাসনা অঙ্কুরে বিনাশ হলেও এ নিয়ে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে দলটির নেতাদের মনে। এ নিয়ে মন্ত্রী হতে ইচ্ছুক দলের নেতারা দুষছেন এরশাদকে।

নাম প্রকাশ না করে তারা বলেছেন, দলের চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তের কারণেই মন্ত্রী হওয়া হয়নি তাদের। এ হতাশা থেকেই শপথ অনুষ্ঠানের চিঠি পাওয়ার পরেও বঙ্গভবনে ইচ্ছে করেই যাননি তারা।

দলের মহাসচিব ও গত সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘শারীরিক অসুস্থতার কারণে আমি শপথ অনুষ্ঠানে যেতে পারিনি। অন্যরা কেউ গেছেন কি না বলতে পারব না।’

তবে ১৪ দলের শরিকদেরও প্রত্যাশা ছিল, বরাবরের মতো এবারও তারা মন্ত্রিসভায় থাকবেন। শেষ পর্যন্ত তাদের আশায়ও গুড়েবালি হয়েছে। এ ঘটনাকে অনাকাক্সিক্ষত বলেও মনে করেছেন তারা। তবে এখনো মন্ত্রিসভায় থাকার আশা ছাড়েননি তারা।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘আমরা মনে করি, মন্ত্রিসভায় রাখা উচিত ছিল। কেন সেটা করা হয়নি তা আমার জানা নেই।’ নির্বাচনের আগে মন্ত্রিত্ব দেওয়ার কথা ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করব। এখনো সময় আছে। দেখি প্রধানমন্ত্রী কী করেন।’

এ বিষয়ে এখনো আলোচনার সুযোগ আছে সে ইঙ্গিত মিলেছে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যেও। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রী না হলে শরিকরা আমাদের সঙ্গে থাকবেন না, বিষয়টা এমন নয়। সময় ও চাহিদা অনুযায়ী মন্ত্রিসভায় পরিবর্তনও হতে পারে। শরিকরা এখন মন্ত্রিসভায় নেই বলে ভবিষ্যতে থাকবেন না এমন নয়।’

বিগত সরকারের মন্ত্রিসভায় মহাজোটের শরিক দলগুলো থেকে ছয়জন মন্ত্রিত্ব পান। মন্ত্রী মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভায় ১৪ দলের শরিকদের মধ্য থেকে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়–য়াকে টেকনোক্র্যাট কোটায় শিল্পমন্ত্রী করা হয়। ওই সরকারের শেষের দিকে নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েন দিলীপ বড়–য়া। তবে মন্ত্রিসভায় যুক্ত হন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও জাতীয় পার্টির (জেপি) সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। এই তিনজন ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর গঠিত মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পান।

এর আগে ২০০৯-১৪ মেয়াদের সরকারে জাতীয় পার্টি থেকে পাঁচজন মন্ত্রী ছিলেন। এর মধ্যে জি এম কাদের শুরু থেকে এবং আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মুজিবুল হক চুন্নু, মসিউর রহমান রাঙ্গা ও সালমা ইসলাম ২০১৩ সালের শেষ দিকে গঠিত নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রী হন।

এরপর দশম সংসদে জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মন্ত্রিসভায় ছিল। ২০১৪ সালে সরকার গঠনের পরপরই মন্ত্রী পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত করা হয় দলটির চেয়ারম্যান এরশাদকে। তার স্ত্রী ও জাপার কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ হন বিরোধীদলীয় নেতা। দলের সভাপতিম-লীর তিন সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ পূর্ণমন্ত্রী এবং মো. মজিবুল হক চুন্নু ও মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা প্রতিমন্ত্রী হন।

বাংলা৭১নিউজ/জেড এইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com