বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) মনে করছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সহজে আদায় করা যায় এমন খাতের ওপর কর বাড়ানো হয়েছে। এতে দেশের সৎ করদাতাদের ওপর করের বোঝা বাড়বে। একই সঙ্গে নতুন বাজেট দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণির ওপর করের চাপ বাড়াবে বলেও মনে করে প্রতিষ্ঠানটি।
২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে এসব মতামত তুলে ধরেছে সিপিডি। রাজধানীর গুলশানের লেক শোর হোটেলে আজ শুক্রবার (২জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে এ পর্যালোচনা তুলে ধরেন সংস্থাটির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। উপস্থিত ছিলেন সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, জ্যেষ্ঠ গবেষক তৌফিকুল ইসলাম খান প্রমুখ।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, যেসব খাত থেকে দ্রুত রাজস্ব তোলা যায়, এমন খাত বেছে নিয়ে সেগুলোর কর বাড়ানো হয়েছে। যেমন ব্যাংকে টাকা রাখায় বা বিমানের টিকিট কেনায় কর বাড়ানো হয়েছে। যারা কর না দিয়ে বিদেশে টাকা নিয়ে যায়, তাঁদের ব্যাপারে নীতিগত কোনো কার্যকর অবস্থান না নিয়ে সৎ করদাতাদের ওপর আরও করের বোঝা চাপানো নৈতিকভাবে ঠিক না। করের চাপটা মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তের ওপর বেশি আসবে।
প্রস্তাবিত বাজেটের বাস্তবায়নের সক্ষমতা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘একটা বাজেট সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে হলে তার জন্য অনুকূল প্রাতিষ্ঠানিক নীতি পরিবেশ লাগে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বা সামগ্রিক বাজেট বাস্তবায়নের জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা বাজেটে দেখা যায়নি। ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন মন্তব্য আছে, কিন্তু সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই। রাজস্ব ব্যয় যে দেড় গুণ বাড়বে, রাজস্ব আয় ৪০ শতাংশ বাড়বে—এগুলো করতে হলে একটা কর্মপরিকল্পনা ও ভিত্তি লাগবে। সেটা আমরা দেখতে পাচ্ছি না।’
বাজেটের কর ও আর্থিক কাঠামোর নীতির ফলে আগামী মূল্যস্ফীতি বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস