বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: কাতারের সঙ্গে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার কারণে তেলের বাজারে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা। এর প্রভাব পড়েছে স্থল, জল ও আকাশপথের যোগাযোগে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন স্কাই নিউজ।
এতে বলা হয়, কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব, মিশর, বাহরাইন, ইয়েমেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত। আরো দেশ ও অঞ্চল একই পথে রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক এই উত্তেজনার ফলে অস্থির হয়ে পড়েছে তেলের বাজার।
এশিয়ার বাজারে সোমবার (৫জুন) দিনের শুরুতে প্রথমে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম পড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ব্যারেল প্রতি ৪৯ ডলার। কিন্তু পরক্ষণেই তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫০.৭৪ ডলার। এই দাম বৃদ্ধির কারণ, বিনিয়োগকারীরা ধরে নিয়েছেন বাজারে তেলের সরবরাহ কমে যাবে। এ আশঙ্কায় তারা বেশি দামে তেল কিনেছেন। তারা আরও ধরে নিয়েছেন তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যকার ওপেক চুক্তি অনুযায়ী তেল উৎপাদনও কমিয়ে আনা হতে পারে। অথবা সীমিত একটি লক্ষ্য নির্দিষ্ট করে দেয়া হতে পারে।
তবে এর প্রভাবে কাতার স্টক এক্সচেঞ্জেও দ্রুত দরপতন ঘটেছে। উল্লেখ্য, উপরে উল্লিখিত ৫টি আরব দেশ ঘোষণা দিয়েছে তারা কাতার থেকে তাদের কূটনৈতিক স্টাফদের প্রত্যাহার করে নেবে। তাদের অভিযোগ, কাতার সন্ত্রাসবাদে সমর্থন দিচ্ছে। ইসলামপন্থি গ্রুপগুলোকে সমর্থন দিয়ে ও ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করার মাধ্যমে কাতার আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে।
এরই মধ্যে আবুধাবি ভিত্তিক বিমান সংস্থা ইতিহাদ বলেছে তারা পরবর্তী নোটিশ না দেয়া পর্যন্ত কাতারে তাদের সব ফ্লাইট স্থগিত রাখছে। দুবাইভিত্তিক বিমান সংস্থা এমিরেটসও একই রকম ঘোষণা দিয়েছে।
তারা বলেছে, মঙ্গলবার থেকে কাতারে তাদের ফ্লাইট স্থগিত থাকবে। চারদিক থেকে কাতারের ওপর যখন এমন চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে তখন কাতার এ কর্মকা-কে সুপরিকল্পিত বলে আখ্যায়িত করেছে। তারা বলেছে, এর কোন আইনগত বৈধতা নেই। এতে সে দেশের নাগরিকদের ওপর কোন প্রভাব পড়বে না বলে জানানো হয়েছে।
ওদিকে সৌদি আরবে সব ফ্লাইট স্থগিত করেছে কাতার এয়ারওয়েজ। ২০১৪ সালের মধ্যভাগে হঠাত করে তেলের দাম যে পর্যায়ে কমে গিয়েছিল তার এবার তার সেই দরপতন অর্ধেকে রাখার জন্য ১৩ সদস্যের অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্টিজ উৎপাদন কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় গত সপ্তাহে। এখানে উল্লেখ্য, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি অশোধিত তেল রপ্তানিকারক হলো সৌদি আরব। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এ শিল্পে বড় ভূমিকা রাখে আবুধাবি। তরল প্রাকৃতিক গ্যাস ও ঘনীভূত গেলের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী দেশ হলো কাতার।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস