বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: করোনার কারণে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো তাদের নিজ নিজ জেলখানা ও ডিটেনশন সেন্টারগুলো খালি করতে শুরু করেছে। সৌদি আরবের পর এবার মাস্কাটের জেলে থাকা ২৯২ বাংলাদেশিকে স্পেশাল ফ্লাইটে ঢাকায় পাঠিয়ে দিয়েছে ওমান সরকার। যদিও ঢাকা চেয়েছিল করোনার এই কঠিন মুহুর্তে কোনো প্রবাসী ফেরত না আসুক।
বিশেষ করে জরুরি ভিত্তিতে তৈরি হতে যাওয়া ৪০০০ প্রবাসী বা বিদেশ ফেরতের একসঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারিন্টিন সুবিধার কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত সময় চেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু না, তার আগেই সৌদি আরব চলতি মাসের মাঝামাঝিতে ওমরাহ করতে গিয়ে আটকে পড়া ১৪৪ বাংলাদেশির সঙ্গে ১৬৮ প্রবাসী, যারা বিভিন্ন অপরাধে কারাগারে ছিলেন তাদের স্পেশাল বিমানে তুলে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়। এই কায়দায় শুক্রবার সন্ধ্যায় ওমানে এয়ারের বিশেষ ফ্লাইটটি ঢাকায় নামে।
এখানো জরুরি আনুষ্ঠানিকতা শেষে ঢাকায় আটকা পড়া ৪ ওমানি কূটনীতিককে নিয়ে ফ্লাইটটি মাস্কাটের উদ্দেশ্য রওনা করে বলে সিভিল এভিয়েশন সূত্র নিশ্চিত করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করোনা সেলের প্রধান অতিরিক্ত সচিব ড. খলিলুর রহমান বলেন, মধ্যপাচ্যের দেশগুলোর জেল থেকে প্রায়শই নিয়মিত ফ্লাইটে ১০-১৫ জনে করে ফিরতেন।
এটা রুটিন ঘটনা। করোনা সংকটের এই কঠিন সময়ে তারা জেলখানা খালি করতে শুরু করেছে, ফলে অপ্রত্যাশিতভাবে প্রবাসীদের দলে দলে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
কুয়েত, কাতার, আরব আমিরাত বাহরাইনসহ আরও কিছু দেশে ছোটোখাটো অপরাধে জেলে থাকা বাংলাদেশিদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, হয়ত তারা দ্রুত ফিরবেন। তাদের জন্য জরুরিভাবে ঢাকা এবং আশপাশের এলাকায় প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সুবিধা তৈরির কাজ চলছে। দেশি-বিদেশে যোগাযোগ ও সমন্বয়ে সেগুনবাগিচায় প্রতিষ্ঠিত করোনা সেলের সমন্বয়ক ডা. খলিল আরও জানান, বিদেশ থেকে যেই আসছেন তাকে ফ্লাইট থেকে নামার পর অবশ্যই স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা স্ক্রিনিং করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, স্ক্রিনিংয়ে কারও শরীরের তাপমাত্রা বেশি পাওয়া গেলে তাদের সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে আশকোনা হজ ক্যাম্পের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হচ্ছে। অন্যদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার করোনার কারণে ইরাকে ২০ হাজার বন্দি মুক্তি পেয়েছেন। যার মধ্যে বেশ বাংলাদেশি রয়েছেন। ড. খলিল মনে করেন ইরাক সরকার কাউকে হয়ত নিজে থেকে ফেরত পাঠাবে না।
বাংলা৭১নিউজ/এবি