রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
মাদারীপুরে ছাত্রদল-যুবদলের সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ লাদাখের অংশ নিয়ে ২ নতুন কাউন্টি ঘোষণা চীনের, প্রতিবাদেই সীমাবদ্ধ ভারত জুবায়েরপন্থিদের বিক্ষোভের ডাক, ২৫ জানুয়ারি সম্মেলনের ঘোষণা হাসপাতালে প্রবীর মিত্র, অবস্থা গুরুতর হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়া পায়নি ঢাকা : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ৮টি এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার দাবি মস্কোর গণঅধিকারের ফারুক হাসানের ওপর হামলা, অভিযোগ ছাত্রদলের বিরুদ্ধে বনানীতে চিরনিদ্রা গেলেন অভিনেত্রী অঞ্জনা মাদারীপুরে সেরা ১২ পুত্রবধূকে সম্মাননা তৈরি পোশাক রপ্তানির ছয় মাসে প্রবৃদ্ধি ১৩.২৮ শতাংশ সাদপন্থিদের ইজতেমা করার অধিকার নেই : মামুনুল হক কাশ্মিরে ভারতীয় তিন সেনা নিহত চট্টগ্রামে মাসব্যাপী ফুল উৎসব শুরু পুনরায় চালুর অপেক্ষায় সেতাবগঞ্জ চিনিকল, খুশি স্থানীয়রা ‘পুলিশ যেন জনগণের আস্থাভাজন হতে পারে, সে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে’ তারেক রহমানের ৪ মামলা বাতিলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল দেশব্যাপী অভিযানে ৬০ হাজার কেজি পলিথিন জব্দ বিয়ে করেছেন তাহসান টাঙ্গাইলে ট্রেনে কাটা পড়ে দম্পতি নিহত আগামী নির্বাচন নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরির নির্বাচন : জোনায়েদ সাকি

মধুমতীর পানি বাড়ায় ভাঙনের কবলে ‘স্বপ্ন নগর’ আশ্রয়ণ প্রকল্প

খুলনা প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

আমাগে মাথা গোঁজার ঠাঁই ‘স্বপ্ন নগর’ ভাঙতে ভাঙতে চইলা যাইতাছে। এরম ভাঙতে থাকলে আমরা কোথায় যামু? আতংক নিয়ে বলছিলেন খুলনার রুপসা উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্প ‘স্বপ্ন নগর’-এর বাসিন্দা হুরি বেগম। তার মতো বহু পরিবার নদীভাঙন আতংক নিয়ে দিনাতিপাত করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খুলনার রুপসা উপজেলায় ২০২০ সালে ভূমি-ঘরহীন পরিবারের মাঝে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা। এ প্রকল্পে নির্মিত ঘর এলাকার নামকরণ করা হয় ‘স্বপ্ন নগর’। ২৮৬টি পরিবারের ঠাঁই হয় এখানে। প্রকল্প নির্মাণের সময় আঠারোবেকী নদীর পাড়ে ৯০০ মিটার অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হয়।

হঠাৎ মধুমতীর পানি বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার খেয়াঘাটের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে বাঁধের প্রায় সাড়ে ৭০০ মিটার নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে আশ্রয়ণ প্রকল্পের অন্তত ৩০টি ঘর এখন ভাঙনের মুখে।

স্থানীয় বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, অস্থায়ী নদী রক্ষা বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন। বাঁধ দিলেও সেটি এখন বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বলেন, মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে প্রকল্পে আশ্রয় পেয়েছিলাম। এখন এ আশ্রয় হারালে আমাদের আবার পথেই থাকতে হবে’। আমরা একটু ক্ষেত-খামার শুরু করছি। ভালোই দিন কাটছিল। কিন্তু হঠাৎ নদীভাঙন আবার সবার মনে ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আশিকুর রহমান হৃদয় বলেন, মধুমতীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় কয়েক দিনে অস্থায়ী বাঁধের কিছু অংশ বিলীন হয়ে গেছে। এখন আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের বাসিন্দারা ঘর হারানো ভয় নিয়ে রাত কাটাচ্ছেন।

খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সেলিম রেজা বলেন, আঠারোবেঁকী নদীতে ফের পানি বাড়ায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। তবে ভাঙন এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

রুপসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকাশ কুমার কুণ্ড ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন। এ বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com