বাংলা৭১নিউজ,(পঞ্চগড়)প্রতিনিধিঃ ঢাকা থেকে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় মিউজিক ভিডিওতে মডেলিং করার জন্য ডেকে এনে এক মডেলকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বোদা থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামি করে মামলা করেছে ওই মডেল তরুণী। পুলিশ মামলার প্রধান দুই আসামি উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক আবিদা সুলতানা লাকী ও প্রথম বাংলা আইপি টিভির চিফ নিউজ এডিটর ও ইউটিউবার সাজ্জাদ হোসেন মিলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকায় থাকতেন ধর্ষণের শিকার ওই মডেল তরুণী। ইউটিউবের জন্য বিভিন্ন মিউজিক ভিডিওতে কাজ করার সময় পাঁচ বছর আগে পরিচয় হয় পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাজ্জাদ হোসেন মিলনের সাথে। ঢাকায় মিলন ভিডিও সম্পাদনার কাজ করতেন। প্রথম বাংলা টিভি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের চিফ নিউজ এটিডর ও গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতেন সাজ্জাদ। এই সম্পর্কের সূত্র ধরেই সম্প্রতি সাজ্জাদ নিজ এলাকা বোদায় একটি মিউজিক ভিডিও তৈরির জন্য মডেল হিসেবে কাজ করতে ওই তরুণীকে আসতে বলে। গত ১৪ জুলাই সকালে বোদায় পৌঁছায় ওই তরুণী। সাজ্জাদ তাকে নিয়ে যায় বোদা উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক আবিদা সুলতানা লাকীর থানাপাড়ার বাড়িতে। তাঁর বাড়িতেই ওই তরুণীকে ফাঁদে ফেলে সাজ্জাদসহ ৪/৫ জন মিলে ধর্ষণ করে। পরদিন তাকে বোদা পৌরসভার ভাসাইনগরে এক বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানেও তাকে ধর্ষণ করা হয়। সন্ধ্যার পর একপর্যায়ে কোন মতে সেখান থেকে পালিয়ে বোদা থানায় আশ্রয় নেয় ওই তরুণী।
রাতেই ওই তরুণী ৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০/১২ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি বোদা থানায় মামলা করেন। মামলার নামীয় আসামিরা হলেন- বোদা পৌরসভার ঝিনুকনগর এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে প্রথম বাংলা আইপি টিভির চিফ নিউজ এডিটর ও ইউটিউবার সাজ্জাদ হোসেন মিলন (৩৩), বোদা উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক আবিদা সুলতানা লাকী (৪৬) ও বোদা নগরকুমারী এলাকার জসীম উদ্দিন (২২)। রাতেই সাজ্জাদ হোসেন মিলন ও আবিদা সুলতানা লাকীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোদা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সায়েম মিয়া বলেন, প্রধান দুই আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আমরা আদালতে তাদের ৫ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেছি। এ ছাড়া ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা ও জবানবন্দি গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পঞ্চগড় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, এই ধর্ষণের ঘটনায় অনেক বিষয় বেড়িয়ে আসছে। আমরা ধারণা করছি এই ঘটনার সাথে বড় একটি চক্র কাজ করেছে। আদালত আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুর করলে আরও অনেক তথ্য আমরা বের করতে পারবো। আমরা পুরো চক্রটিকেই বের করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
বাংলা৭১নিউজ/এফএ