বাংলা৭১নিউজ, কক্সবাজার: ঘূর্ণিঝড় মোরার কারণে মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে শাহ আমানত বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠা-নামা বন্ধ থাকবে।
১০ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেত নিয়ে আসা ঘূর্ণিঝড়টি মঙ্গলবার সকাল নাগাদ চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানবে বলে আভাস দেওয়া হচ্ছে, তাই সতর্কতা হিসেবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপ।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সাধন কুমার মোহন্ত জানিয়েছেন, তারা মঙ্গলবার সকাল ৯টায় পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।
ঝড়ের কারণে ঢাকায় শাহজালাল বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
শাহ আমানতে সোমবার রাতে শেষ ফ্লাইটটি রাত ১১টায়, সে পর্যন্ত কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলবে বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দরটির ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার মোহাম্মদ রিয়াজুল কবির।
সোমবার রাত ১১টার পর থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত আর কোনো ফ্লাইট নেই শাহ আমানতে।
রিয়াজুল কবির বলেন, “আগামীকাল (মঙ্গলবার) সকাল পৌনে ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কোনো ফ্লাইট চলাচল করবে না।”
এয়ারলাইন্সগুলোকে চিঠি পাঠিয়ে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
রিজেন্ট এয়ারওয়েজের হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সহকারী মহাব্যবস্থাপক কে এম জাফরউজ্জামান বলেন, শাহ আমানত বন্ধের ঘোষণা তারা পেয়েছেন।
“সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ফোন করে ফ্লাইট চলাচল করবে না বলে জানিয়েছে। তারা বলেছে, আবহাওয়া বিরূপ হলে আরও বেশি সময়ও ফ্লাইট বন্ধ থাকতে পারে।”
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৭টায় বিমানের একটি ফ্লাইট দুবাই থেকে কক্সবাজার এবং সকাল ৯টায় মাসকাট থেকে একটি ফ্লাইট সরাসরি চট্টগ্রামে নামার কথা ছিল।
এছাড়াও সকালে ঢাকা থেকে আরেকটি ফ্লাইট চট্টগ্রাম হয়ে কলকাতা যাওয়ার কথাও জানান তিনি।
রিজেন্ট এয়ারওয়েজের কর্মকর্তা জাফরউজ্জামান জানান, মঙ্গলবার মাসকাট থেকে সকাল ৮টায় তাদের একটি ফ্লাইট চট্টগ্রামে নামার কথা ছিল।
এই ফ্লাইটগুলো চট্টগ্রামে ল্যান্ড করতে না পারলে সরাসরি ঢাকায় শাহজালাল বিমানবন্দরে চলে আসবে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা থেকে বিমানের একটি ফ্লাইট কক্সবাজার যাওয়ার কথা রয়েছে। ওই ফ্লাইটটি এখন অনিশ্চিয়তায় পড়েছে।
এদিকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে বিমানের ‘গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইকুয়েপমেন্টগুলো’ নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে জানান শাকিল মেরাজ।
বাংলা৭১নিউজ/বিকে