ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ও রাজাপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংর্ঘষ হয়েছে। এতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের অনেকেই ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের স্বতস্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাগার হাট এলাকায় একটি জানাজায় অংশ নিতে এলে প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের প্রার্থী জহিরুল ইসলামের সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা চালান। এতে ১৫ জন আহত হন। পরে আহতদের হাসপাতালে পাঠিয়ে বাড়ি ফেরার সময় আবারও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা হামলা চালান। এতে তিনিসহ তার মেয়ে জান্নাত বেগম, ছেলে সুমনসহ ১০ জন আহত হয়ে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, তার সমর্থকরা সকাল থেকে পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বাড়ির সামনে প্রচারণা করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা চালান। এতে তার ১৫ থেকে ২০ জন সমর্থক আহত হন। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে রাজাপুর ইউনিয়নের জনতা বাজার এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল হক মিঠু চৌধুরী (আনারস) প্রতীকের প্রচার-প্রচারণা করার সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মিজানুর রহমানের সমর্থকরা হামলা চালিয়ে ১০ জনকে আহত করেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মিজানুর রহমান। তার দাবি, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাটক করে তাদের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন।
এ বিষয়ে ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে কোনো পক্ষ এখন পর্যন্ত থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএম