সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ১২:০৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষার প্রিলির ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৬০৩ সিলেটে সাত সকালে কালবৈশাখীর তাণ্ডব সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে, ধোঁয়া দেখলেই পানি স্প্রে চলে গেলেন ‘টাইটানিক’খ্যাত অভিনেতা বার্নার্ড হিল হামাসের হামলার জবাবে রাফায় ইসরায়েলের হামলা, নিহত ১৯ আগামী সাত দিন হতে পারে ‘বৃষ্টির সপ্তাহ’ রাজধানীতে বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২ জিম্বাবুয়েকে ৬ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ ব্রাজিলে বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৭৫, নিখোঁজ শতাধিক টস জিতে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো বাংলাদেশ ছয় মাসে রাজস্ব আহরণ বেড়েছে ১৩.৯ শতাংশ: অর্থমন্ত্রী সোনার দাম আরও বাড়লো ব্যর্থতা ঝেড়ে বিশ্বকাপ রঙিন করার প্রত্যাশা জ্যোতির পালিয়ে বাংলাদেশে এলেন আরও ৮৮ বিজিপি সদস্য এবি ব্যাংক পিএলসি যশোরে স্মার্ট কার্ডে নারী উদ্যোক্তা ঋণ স্মরণে বঙ্গবন্ধু ঢাকায় আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপে তীব্র তাপপ্রবাহের পর হবিগঞ্জে ঝড়-শিলাবৃষ্টি গুচ্ছের বি ইউনিটের ফল প্রকাশ তাপপ্রবাহ এবারই শেষ নয়, প্রস্তুতি শুরুর পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হাওরের প্রায় শতভাগ বোরো ধান কাটা শেষ

ভোটে ‘অনিয়মের ভিডিও’ কিনছে বিএনপি

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৯
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটে ‘অনিয়মের’ ‘তথ্যপ্রমাণ’ সংগ্রহ করতে বেশ খরচ করছে বিএনপি। নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ এমনকি ভোটে কাজ করা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছ থেকেও বিভিন্ন ভিডিও এবং ছবি সংগ্রহ করছে দলটি। এগুলো আদালত ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরবে বিএনপি। তবে অর্থের বিনিময়ে এসব তথ্য সংগ্রহে দলের কোনো সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেই। বিচ্ছিন্নভাবে নানা উপায়ে স্থানীয় পর্যায় থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

৩০ ডিসেম্বরের ভোটে নজিরবিহীন বাজে ফল করেছে বিএনপি ও তার শরিকরা। সব মিলিয়ে তারা ভোট পেয়েছে সাড়ে ১৩ শতাংশের মতো। আর আসন পেয়েছে আটটি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ও তার শরিকরা আসন পেয়েছে ২৮৮টি। স্বতন্ত্র প্রার্থী জিতেছেন তিনটি আসনে যাদের একজন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী, একজন আওয়ামী লীগ সমর্থিত এবং একজন বিএনপি সমর্থিত। আর একটি আসনে ভোট হবে ২৭ জানুয়ারি।

বিএনপি অবশ্য এই ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে দাবি করেছে, আগের রাতে সিল মেরে এবং ভোটের দিন তাদের সমর্থকদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়ায় জনগণ ভোট দিতে পারেনি। আর পরাজিত প্রার্থীরা হাইকোর্টে ফলাফলের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আর মামলার জন্য তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করতে চাইছে বিএনপি। প্রতিটি আসনের পরাজিত প্রার্থীদের তথ্যপ্রমাণ যোগাড় করে ১০ জানুয়ারির মধ্যে কেন্দ্রে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

নির্ধারিত সময়ে সবগুলো আসন থেকে তথ্যউপাত্ত না এলেও প্রতিদিনই তা আসছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। গতকাল পর্যন্ত ১২০টি আসনের বিষয়ে প্রতিবেদন পাওয়ার কথা জানিয়েছেন তারা।

বিএনপির তৃণমূলের এক নেতা বলেন, “ভোটে জালিয়াতির ইঙ্গিত পেয়ে ক্ষমতাসীন দলের একাংশের নেতাকর্মী ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের হাত করতে আগে থেকেই কিছু অর্থ বরাদ্দ করা হয়। আগের রাতে ও ভোটের দিন কেন্দ্রে সরকারি দলের ব্যাজ পরে ‘অনিয়মের চিত্র’ গোপনে তুলে রাখার জন্য এই টাকা দেওয়া হয়। এর মধ্যে কিছু ভিডিও আমরা পেয়েছি।”

বিএনপির ওয়ার্ড পর্যায়ের এক কর্মী বলেন, ‘আমার এলাকার অনেকেই নির্বাচনে কারচুপির তথ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করেছিলেন। কিন্তু ভয়ে সেগুলো প্রকাশ করেননি। তাদের কাছ থেকে এসব ভিডিও এবং ছবি সংগ্রহ করে আমাদের প্রার্থীর কাছে দেওয়া হয়েছে। যাদের কাছে এসব তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে তাদের কিছু টাকাও দেওয়া হয়েছে।’

বৃহত্তর ফরিদপুরের একটি উপজেলা বিএনপির সভাপতি বলেন, ‘আমাদের আসনে অনিয়মের আংশিক তথ্য ইতিমধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দিয়েছি। এখনো বিভিন্ন ভিডিও  সংগ্রহ করা হচ্ছে। কিছু জায়গায় এসব ভিডিও সংগ্রহ করতে টাকাও দিতে হচ্ছে। দলীয় নেতাকর্মীরাও নগদ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।’

তবে টাকা দিয়ে ভিডিও কেনার বিষয়টি নাকচ করেছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস আরা শিরিন। তিনি বলেন, ‘ভোট কারচুপির তথ্য আমরা টাকা দিয়ে কিনতে যাব কেন? জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি এতে তারাই আমাদের কাছে এসব ভিডিও ফুটেজ এবং ছবি দিচ্ছে। আমাদের টাকা দিয়ে এসব কিনতে হবে কেন?’

এদিকে কেন্দ্র থেকে গত ১০ তারিখের মধ্যে প্রার্থীদের নিজ নিজ আসনের তথ্য-উপাত্ত বিস্তারিত জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু অন্যান্য তথ্যের থেকে ভোটের সময় অনিয়ম ও কারচুরির ভিডিও, ছবি সংগ্রহ করতে অনেককে বিপাকে পড়তে হয়েছে। এই সমস্যার কারণে রাজশাহী বিভাগের অনেক আসনেরই তথ্য-উপাত্ত এখনো কেন্দ্রে পাঠাতে পারেননি স্থানীয় নেতারা।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, ‘আমাদের কাজ শেষ পর্যায়ে। এখন টাইপ চলছে। আশা করি, দুই-তিন দিনের মধ্যে অনিয়ম ও কারচুপির তথ্য বিস্তারিত পাঠানো যাবে।’

কোন প্রক্রিয়ায় এসব তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পোলিং এজেন্ট, কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।’

বিএনপির উত্তরাঞ্চলের একজন প্রভাবশালী নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘নির্বাচন যে এমন হবে সেটা জানা থাকলে আমাদেরও প্রস্তুতি নেওয়া যেত। কারণ এখন অডিও ভিডিও সংগ্রহ করার অনেক উপায় আছে। যে কারণে এগুলো কর্মী-সমর্থকদের বাইরে যাদের কাছ থেকে এসব সংগ্রহ করতে নানা কৌশলের আশ্রয় নিতে হচ্ছে।  যেভাবে তথ্য সন্ত্রাস হচ্ছে তাতে অনেকে তথ্য সত্য হলেও দিতে ভয় পান।’

অর্থের বিনিময়ে এসব ভিডিও-ছবি সংগ্রহ করতে হচ্ছে কি না প্রশ্নে এই নেতা বলেন, ‘অনেক ধরনের কৌশল নিতে হচ্ছে। প্রয়োজনে তাদের বাড়িতে এক দিন খেয়ে হলেও সংগ্রহ করতে হচ্ছে। কারণ অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করতে এই তথ্য গুরুত্বপূর্ণ।’

বাংলা৭১নিউজ/আর এম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com