বাংলা৭১নিউজ,(টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ১২০ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে অধিকাংশই ভোটারশূন্য দেখা গেছে। কেন্দ্রের বাহিরে ও ভেতরে ভোটার দেখা যাচ্ছে না।রোববার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। উপজেলা সদরের মির্জাপুর এসকে পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, পুষ্টকামুরী আলহাজ শফিউদ্দিন মিঞা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়কেন্দ্র, বাওয়ার কুমারজানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
একই অবস্থা উপজেলার মহেড়া, জামুর্কি, ফতেপুর, বানাইল, আনাইতারা, ওয়ার্শি, ভাদগ্রাম, ভাওড়া, বহুরিয়া, লতিফপুর, গোড়াই, আজগানা, তরফপুর ও আজগানা ইউনিয়নের অধীনে ১২০টি ভোটকেন্দ্র। এই কেন্দ্রগুলো ভোটারশূন্য। সকাল থেকে এখানে অলস সময় কাটাচ্ছেন পোলিং এজেন্টরা।মির্জাপুর থানার ওসি একেএম মিজচানুল হক জানান, ১২০ কেন্দ্রের মধ্যে ৭০ কেন্দ্রই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
মির্জাপুর এসকে পাইলট মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত প্রিসাইডিং অফিসার মো. সাইফুর রহমান বলেন, ভোট কেন্দ্রে ভোটার তেমন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তবে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে তাদের সব প্রকার প্রস্তুতি রয়েছে।
চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু (নৌকা), টাঙ্গাইল জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জননেতা মো. ফিরোজ হায়দার খান(মোটরসাইকেল), ন্যাশনাল পিপুলস পার্টির মো. লাল মিয়া (আম মার্কা) এবং প্রগতিশীল বামদল বাংলাদেশ রামকৃষ্ণ পার্টির সভাপতি শ্রী মতি রূপা রায় চৌধুরী (আনারস)।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে পুরুষ প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আজাহারুল ইসলাম সিকদার আজাহার (তালা), উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক জিএস সেলিম সিকদার (উড়োজাহাজ) এবং উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কাশেম (টিউবওয়েল)।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা লীগের নেত্রী মির্জা শামীমা আক্তার শিফা (কলসী), টাঙ্গাইল জেলা ও মির্জাপুর উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী খালেদা সিদ্দিকী স্বপ্না (ফুটবল) এবং জেলা মহিলা লীগের নেত্রী বেগম সালমা সালাম উর্মি (হাঁস মার্কা)।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুল মালেক বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে গ্রহণের লক্ষ্যে প্রশাসন থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে। নির্বাচন নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব প্রকার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসড